ধর্ষিত ছাগল রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

সাতসকালে এমন অভিযোগ পেয়ে চেয়ার থেকে উল্টে পড়ার উপক্রম হয়েছিল ভারতের জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানার ডিউটি অফিসারের। রক্তাক্ত ছাগলটিকে দেখে বোধগম্য হচ্ছিল না কিছুই। ছাগলের মালিক ধূপগুড়ির পাটকিদহ গ্রামের নতুন হাটবাজার এলাকায় ঠাকুরমশায় হিসাবে খ্যাত শিশির চক্রবর্তী যখন গোটা ঘটনা ব্যাখ্যা করেন, তখন তাঁর চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।

ভোরবেলায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান হরিশ্চন্দ্র রায়। তাঁর অভিযোগ, সুবোধ রায় নামে বছর চৌত্রিশের এক যুবক শিশির চক্রবর্তীর ছাগলটিকে তখন রাস্তার ধারে ঝোপে ধর্ষণ করছিল। হরিশ্চন্দ্রকে দেখতে পেয়ে পালিয়ে যায় সুবোধ।

খবর পেয়ে ছুটে আসেন শিশির চক্রবর্তী। রক্তাক্ত অবস্থায় ছাগলটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশিরবাবুর অভিযোগ, ভোররাতে তাঁর প্রিয় ছাগলটিকে চুরি করেছিল সুবোধ। তারপরেই এইসব কাণ্ড।
সুবোধ আপাতত বেপাত্তা। শিশিরবাবুর সাফ কথা, যে যুবক তাঁর ছাগলের এই হাল করেছে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। গ্রামের মানুষও সুবোধের এমন কুকীর্তিতে হতবাক। শিশির চক্রবর্তীর বাড়ির কাছেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাস করেন সুবোধ।

পুলিশও আপাতত তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ উত্তম মজুমদারের মতে, এই ধরনের মানসিক রোগকে ‘বিস্টিয়ালিটি’ বলে।  তবে, সুবোধ এই রোগে আক্রান্ত কি না, তা তাঁকে সামনাসামনি জেরা করেই বলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই