ধূমপান ছাড়ার পর ফুসফুস সুস্থ রাখবে যে খাবারগুলো

‘ধূমপান বিষপান’- এই কথাটি জানা সত্ত্বেও অনেকে ধূমপান করে থাকেন। আপনি চেইন স্মোকার হন বা টিন স্মোকার, হুট করে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাটা আপনার জন্য কষ্টসাধ্য। আর ধূমপান যদি একবার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়, তবে তো কোন কথাই নেই! তবে হ্যাঁ ইচ্ছাশক্তি এবং আন্তরিকতা দিয়ে এই অভ্যাস ত্যাগ করা সম্ভব। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার সময়টি একজন ধূমপায়ীদের জন্য বেশ কষ্টকর। কিছু খাবার আছে যা শরীরে টক্সিন দূর করে ধূমপানের অভ্যাস দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার পর এই খাবারগুলো প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় রাখুন।

১। পানি
ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার পর পানি পানের পরিমাণটি বাড়িয়ে দিন। দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করুন। এটি আপনার শরীর থেকে নিকোটিন বের করে কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

২। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ খাবার
যে সকল খাবারে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাটাসিন, কোয়ারটিন, ক্যাম্পফিরো অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান আছে যা ফুসফুস সুরক্ষা করে থাকে। ফ্ল্যাভোনয়েড ফুসফুসে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি করতে বাধা দেয়। স্ট্রবেরি, সবুজ চা, কালো চা, আপেল, বিনস এবং পেঁয়াজ ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন।

৩। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন সি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ যেমন নিকোটিন দ্রুত বের করে দেয়। কমলা, আমলকী, লেবু, পেঁপে,টমেটো ইত্যাদি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার প্রতিদিন খেতে পারেন। একজন ধূমপায়ীর প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার ভিটামিন সি খাওয়া উচিত শরীর সুস্থ রাখার জন্য।

৪। গাজরের রস
এটি আপনার শরীর ডিটক্স করে রক্ত থেকে দূষিত পর্দাথ বের করে দেয়। এই একটি রসে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি রয়েছে যা শরীরে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।

৫। পালং শাক
পালং শাক শুধু ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করে না, এটি কিডনির পাথর দূর করতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড যা আপনাকে ধূমপান করার আগ্রহ কমিয়ে দেয়।

৬। ব্রকলি
আপনি যদি ধূমপানের অভ্যাস দূর করতে চান, এই সবজিটি আপনাকে সাহায্য করবে। এটি ফুসফুস পরিষ্কার করে নিকোটিন দূর করে দিবে। এতে সালপোফেইন নামক উপাদান আছে যা ফুসফুস সুস্থ রাখতে পারবে।

এই খাবারগুলোর সাথে লেবু, শসা, বেগুন, কিউই, বিনস, স্ট্রবেরি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন। এই খাবারগুলো আপনার ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে তার সাথে ধূমপান পরবর্তী সময়ে ফুসফুস সুস্থ রাখবে।



মন্তব্য চালু নেই