ধোনিকে চেনা কঠিন! এত বছর বাদে কেন বললেন সাক্ষী?

খেলার মাঠে ভারতের সফলতম অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রতিক্রিয়া কেউ দেখতেই পান না। কঠিন পরিস্থিতিতেও মাহির মাথা মারাত্মক ঠান্ডা থাকে। তিনি কী ভাবছেন, কী করতে চলেছেন, তা কেউই ধরতে পারেন না। বিপক্ষের ক্রিকেটাররাও ধোনির মস্তিষ্কের হদিশ পান না। মাহির ছেলেবেলার বন্ধুরা বলে থাকেন, ভিতরে ভিতরে মাহি কী চিন্তা করছে, তা বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। এটাই ধোনির চারিত্রিক গুণ।

নিজের প্রতিক্রিয়া লুকিয়ে রাখার জন্যই ধোনি এত সফল। মাহির সতীর্থরাও ভাল করে বুঝতে পারেন না ‘ক্যাপ্টেন কুল’কে। ধোনিকে বোধহয় খুব ভাল করে চিনতে পেরেছেন দু’ জন। একজন অতি অবশ্যই সাক্ষী সিংহ রাওয়াত। এবং অপরজন সুশান্ত সিংহ রাজপুত।

সাক্ষীর সঙ্গে ছ’ বছরের কাছাকাছি বিয়ে হয়েছে ধোনির। স্বামীকে বোঝার, তাঁকে চেনার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছেন সাক্ষী। সেই জন্যই অবলীলায় ‘রিল লাইফ’-এর ধোনি সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে বলতে পারেন আসল কথাটা। যা দিয়ে পরিচয় পাওয়া যায় আসল ধোনির। এখন প্রশ্ন হল, সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে কী বলেছেন সাক্ষী?
মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ধোনির বায়োপিক ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছে। অভিনেতা হিসেবে রিল লাইফের ধোনির প্রশংসা হয়েছে সর্বত্র।

সুশান্তের অভিনয় দেখার পরে স্বয়ং ধোনি পর্যন্ত সার্টিফিকেট দিয়েছেন সুশান্তকে। ধোনির কথায়, ‘তুমি (সুশান্ত) আমাকে খুব ভাল কপি করেছ।’ ধোনি অবশ্য কোনওকালেই বেশি কথা বলার বান্দা নন। সুশান্তকে আসল সার্টিফিকেটটা দিয়েছেন সাক্ষীই। সুশান্ত বলছেন, ‘ধোনি ও সাক্ষী একসঙ্গে সিনেমা দেখতে এসেছিল। ওদের সঙ্গে বসে আমিও সিনেমা দেখি।

প্রথম কয়েক মিনিট তো ধোনি কোনও কথাই বলেনি। মুখে লেগেছিল হাল্কা হাসি। সিনেমা দেখে নিজেকে চেপে রাখতে পারেনি সাক্ষী। খুবই উচ্ছ্বসিত দেখায় ওকে। আমার প্রশংসা করে বলেছে, ধোনিকে বুঝতে পারা খুবই কঠিন ব্যাপার। তুমি ঠিকঠাক ধোনিকে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছ।’ ফলে যে ধোনির মনের হদিশ কেউ পাননা, তাঁকে ঠিকঠাক বুঝতে পেরেছেন কেবল দু’ জন। একজন স্ত্রী। অপরজন সুশান্ত সিংহ রাজপুত।



মন্তব্য চালু নেই