ধোয়া ওঠা ভাতে কই পাতুরি

বৃষ্টি বাদলের দিনে ভর্তা ভাত বাঙালির প্রিয় খাবার। সেটা হতে পারে শাক, সবজি অথবা মাছ ভর্তা। একটু বেশিই মজাদার খাবার খেতে পাতের কোণে হাজির করতে পারেন কই পাতুরি। মাছের সঙ্গে শাকের অসাধারণ মেলবন্ধন। ধোয়া ওঠা ভাতে এমন খাবারের জুড়ি নেই। আসুন তবে শিখে নেয়া যাক কই পাতুরির সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

কই মাছ ৩টি, লাউপাতা মাছ প্রতি ২টি করে, পেঁয়াজ দেড়টা, সরিষা বাটা আধা চা-চামচ, রসুন ২ কোয়া, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ স্বাদমতো, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

লাউয়ের কচিপাতা আঁশ ফেলে ভালো করে ধুয়ে রাখতে হবে। মাছের দুইপিঠ চিরে রাখতে হবে যাতে মসলা ঠিকমতো ঢোকে। পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, হলুদ ও মরিচগুঁড়া আর কাঁচামরিচ একসঙ্গে আগেই বেটে নিন। এবার তাতে মেশাতে হবে লবণ আর খানিকটা সরিষার তেল। বাটা মসলার মধ্যে কই মাছগুলো দিয়ে ভালো করে মেখে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এবার ২টি করে লাউপাতা বিছিয়ে তাতে মসলায় মাখা কই মাছ সঙ্গে দুটি কাঁচামরিচ দিন। তারপর চারপাশ থেকে লাউপাতা এমনভাবে পেঁচিয়ে নিতে হবে যাতে মসলা বের না হয়।

সুতা পেঁচিয়ে বেঁধে দিলে মসলা বা মাছ বের হবে না।এভাবে সবগুলো কই মাছ পাতায় পেঁচিয়ে নিন। যদি শাকভর্তার পরিমাণ একটু বেশি চান তবে মাছ প্রতি ৩টি করে লাউপাতা দিতে পারেন। প্যানে তিন থেকে চার চা-চামচ তেল গরম করে পাশাপাশি মাছগুলেঅ বিছিয়ে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে মধ্যম আঁচে ঢেকে দিন। আধা ঘণ্টা পর নামিয়ে আনলেই হবে।

এবার সুতা খুলে পাতার প্যাকেট থেকে মাছগুলো মসলাসহ আলাদা প্লেটে রাখুন। অপরদিকে লাউপাতা কাঁচামরিচসহ পাটা বা মিক্সিতে বেটে নিন। তারপর মাছ আর শাকভর্তার ওপরে অল্প করে একটু সরিষার তেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন কই পাতুরি। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার কই পাতুরি।



মন্তব্য চালু নেই