নওগাঁয় আড়াই বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা : নওগাঁর সদর উপজেলায় প্রায় আড়াই বছর পর কবর থেকে উজ্জ্বল হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের শালুকা গ্রাম থেকে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ১০ সেপ্টেম্বর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ডগোয়াল গ্রামের খাদেম আলীর বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় উজ্জ্বল হোসেন বল্লমের আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়। প্রায় তিন মাস পর ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাজশাহী জমজম ইসলামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার আত্রাই থানায় অভিযোগ করলেও বিষয়টি মামলা হিসাবে গ্রহণ করেনি পুলিশ। ঘটনার দুই বছর পর চলতি বছর এপ্রিল মাসে মোবাইল ফোনে অডিও রেকর্ডের সূত্র ধরে উজ্জ্বল হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে গত ৮ এপ্রিল নওগাঁ ৯নং আমলী আদালতে উজ্জ্বলের বাবা বাদি হয়ে আত্রাই উপজেলার শুঁটকিগাছা গ্রামের রেজাউল ইসলাম (৪৫), গন্ডগোয়ালী গ্রামের ছাইফুল ইসলাম (৩৫) ও দীঘিপাড়া গ্রামের মাহতাব আলী (৫০)কে আসামী করে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ গত ৪ মে রেজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করলেও অন্য দুই আসামীকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিপন কুমার সাহা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আত্রাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল উপস্থিত থেকে কবরস্থান থেকে উজ্জ্বলের লাশ উত্তোলন করেন। নিহত উজ্জ্বলের মা সাহারা বেগম ও বাবা আব্বাস আলী অভিযোগ করেন। উজ্জ্বল ট্রাক চালকের কাজ করতেন। সে গন্ডগোয়ালী গ্রামের খাদেম আলীর বাড়িতে থাকতেন। সেখানে থাকা অবস্থায় পাশের গ্রাম শুঁটকিগাছা গ্রামের রেজাউলের মেয়ে সঙ্গে উজ্জ্বলের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে রেজাউল ভারাটিয়া খুনি ঠিক করে। খুনিরা রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় জানালার বাইরে থেকে উজ্জ্বলকে হত্যা জন্য বল্লম দিয়ে আঘাত করে। পরে ভারাটিয়া খুনি সাইফুল ও রেজউলের মুটোফোনে কথোপকথনের রেকর্ড শুনে জানা যায় রেজাউর ভারাটিয়া খুনি দিয়ে উজ্জ্বলকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিপন কুমান সাহা জানান, আদালতের নিদের্শে লাশ ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই