নগরীতে হরতালের সাড়া মেলেনি

জামায়াতের ডাকা হরতালে সাড়া মেলেনি বন্দরনগরীতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কড়া নজরদারিতে মাঠে নেই দলটির নেতাকর্মীরাও। বরং রাজপথ দখলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় দলটি।

সিএমপি সূত্রে জানায়, ভোর থেকে নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নগরজুড়ে টহল দিচ্ছে বিজিবি সদস্যরা। নগরের জামালখান, আসকারদীঘি, কাজীর দেউড়ি, মেহেদিবাগ, জিইসি, প্রবর্তক মোড় ঘুরে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসব মোড় অবস্থান নিয়েছে। প্রায় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এসব এলাকায় দোকানপাটও খোলা আছে। এ ছাড়া নগরের কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) নাঈমুল হাছান বলেন, ‘হরতালে অপ্রীতিকর কোনো কিছুর খবর পাওয়া যায়নি। মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ টহল দিচ্ছে। সব উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।’ চট্টগ্রাম নগরী, বাঁশখালী, সীতাকু- ও হাটহাজারী উপজেলায় ১৮ ব্যাটালিয়ন থেকে দুই পাটুন করে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাউজানে ১৯ ব্যাটালিয়ন থেকে দুই পাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

কিছু কিছু দূরপালার গাড়ি ছাড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল কদমতলী, দক্ষিণাঞ্চলের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল ও উত্তরাঞ্চলের অক্সিজেন বাস টার্মিনাল থেকে সব সড়কে বাস চলাচল প্রায় স্বাভাবিক আছে। ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম। সূত্রে জানা যায় আওয়ামী লীগ নগরজুড়ে হরতালবিরোধী মিছিল-সমাবেশ করছে।



মন্তব্য চালু নেই