নজরদারিতে আসছেন সরকারি কর্মকর্তারা

সরকারি কর্মকর্তারা আইপি ফোনের মাধ্যমে নজরদারিতে আসছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, এই ফোনের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তারা তার কার্যদিবসে একে অপরের সঙ্গে বিনা খরছে কথা বলতে পারবেন। কোনো কর্মকর্তা অফিসে আছেন কিনা তা নির্ণয় করা যাবে। ফলে সবাই নজরদারিতে থাকবে এবং এতে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধনীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ন্যাশনাল ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট’ প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এসকে সি অ্যান্ড সি কোম্পানি লিমিটেড। আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ডিভিশন।

পলক বলেন, প্রত্যেকটি জেলায় নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে সবগুলো অফিস নজরদারিতে থাকবে বলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। বর্তমানে ৬৪টি জেলায় ৬৪টি আইসিটি সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৪৭০ উপজেলায় নতুন করে হাইস্পিড ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে।

তিনি বলেন, সরকারি অফিসগুলোতে ১২০০ আইপি ফোন থাকবে। সরাসরি বিনা পয়সায় ৬৪ জেলায় সরকারি কর্মকর্তারা যোগাযোগ করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে তারা এই ফোন দিয়ে যে কোনো মোবাইলে যাতে কথা বলতে পারে তার ব্যবস্থাও করা হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বেগম ইসমাত আরা সাদিক বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী উপযুক্ত নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন স্থাপিত হবে। জনপ্রশাসনে আইসিটি ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে দক্ষতা, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, সম্পদের অপচয় রোধ ও সেবার গুনগত মান বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, ২২৭টি অধিদফতর, দপ্তর ও সংস্থা, ৬৪টি জেলার ১টি করে উপজেলা ব্যাকবোন নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে। ফলে দ্রুত ডাটা ট্রান্সফার, ভিডিও কনফারেন্সিং, জরুরী ফাইল ট্রান্সফার ও আইপি ফোন ব্যবহারের সুবিধাসহ ইনফ্রা নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় ঢাকাতে ৪৩ কি. মি. ফাইবার অপটিক লাইন স্থাপন করা হয়েছে এবং বিসিসি ভবনে নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার (এনওসি) স্থাপন করা হয়েছে।

বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি ইউন ইয়াং। এ ছাড়া মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, এসকে সি অ্যান্ড সি কোম্পানি ভাইস প্রেসিডেন্ট সু ইয়াং লি, প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই