নজরুল ও বঙ্গবন্ধুর চেতনা ছিলো অভিন্ন

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনার মূল ছিল অভিন্ন। দুজনেই বিদ্রোহী, দুজনেই চেয়েছেন বাংলার স্বাধীনতা।

শুক্রবার বিকালে জাতীয় নজরুল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নজরুলের কবিতা, গান, নৃত্যসহ অনবদ্য সব সৃষ্টি নিয়ে ফরিদপুরের অম্বিকা ময়দান ও মেমোরিয়াল হলে শুরু হয়েছে তিন দিনের এই সম্মেলন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাঙালির ইতিহাসে নজরুলই একমাত্র কবি, যিনি তার সৃজনশীল প্রতিভায় বাঙালি চেতনাকে সামগ্রিকভাবে ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলাদেশের সাহিত্য, সঙ্গীত ও সংস্কৃতির প্রধান রুপকার এই মহান কবি আমাদের মানবিক চেতনার প্রতীক। নজরুল ছিলেন বিদ্রোহী কবি, মানবতা ও সাম্যের কবি। আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক নজরুলের লেখায় হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তার পদচারণায় ধন্য হয়েছে ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, যশোহর, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গাসহ অগনিত জনপদ। ফরিদপুর জেলায় আগমনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাটি-মানুষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট ও প্রীতিপূর্ণ আত্মিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলা সাহিত্যের এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিকে তার অসহায় অসুস্থ জীবনে বাংলাদেশে এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু নজরুলকে দিয়েছিলেন জাতীয় কবির মর্যাদা। নজরুল ও বঙ্গবন্ধু দুজনের চেতনার মূল ছিল একই। দুজনেই বিদ্রোহী, দুজনেই চেয়েছেন বাংলার স্বাধীনতা।

সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইন্সটিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইমেরিটাস রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংস্কৃতিক মুক্তির চলমান আন্দোলনে নজরুলই আমাদের প্রধান প্রাণপুরুষ। করপোরেট কালচারের নামে যে বিকৃত সাংস্কৃতিতে আমরা অভ্যস্ত হচ্ছি, তা থেকে মুক্তি পেতে নজরুল চর্চার কোনো বিকল্প নেই।

সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন কবির নাতনি নজরুল ইন্সটিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য খিলখিল কাজী, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাবেক সভাপতি কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুর রশীদ, (শিক্ষা ও আইসিটি) ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, সাংস্কৃতিক সংগঠক আসমা আক্তার মুক্তা প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই