নতুন কারাগারে চলছে রমরমা ‘সাক্ষাত বাণিজ্য’

দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে নতুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেও বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে রমরমা বাণিজ্য চলছে। কথিত ভিআইপি সাক্ষাতের কথা বলে সাক্ষাতপ্রার্থীদের কাছ থেকে ১ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। কারারক্ষীদের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও সাক্ষাতপ্রার্থীরা বলছেন, অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে সাক্ষাত বাণিজ্য।

সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। গত ৩০ জুলাই পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড থেকে সব বন্দিকে সেখানে নেয়া হয়েছে। কিন্তু কারাগারের জায়গা বদল হলেও যে বিষয়ে পুরনো কারাগারের সঙ্গে নতুন কারাগারের পুরোপুরি মিল সেটি হচ্ছে সাক্ষাত বাণিজ্য।

কারাগার অনেকটা খোলা জায়গা হওয়ায় মাঝখানের ঝোপঝাড়ে ভরা বিশাল মাঠে গড়ে উঠেছে সাক্ষাত বাণিজ্য বাজার। দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা বন্দির সাক্ষাত পেতে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে স্লিপ কাটছেন।

এমন একজন বলেন, তিনদিন আগে আসছি। কিন্তু আমরা গরিব এবং টাকা দিতে পারি না বলে আসামীও দেখায় না। এখানে বিভিন্ন পন্থা ব্যবহৃত হয়। যাদের টাকা আছে তারা টাকা দিয়ে, যাদের ক্ষমতা আছে তারা ক্ষমতা দিয়ে এবং যাদের পরিচিত লোক আছে তারা তাদের ব্যবহার করে দেখা করছে।

xjzPqL97NTZS

টাকা নিয়ে রশীদ দেয়ার আলোচনার সময় ক্যামেরা দেখে দুই কারারক্ষী দৌড়ে ফটকের ভেতর চলে যান। পোশাক নেই এমন এক কারারক্ষী তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

কারা কর্তৃপক্ষ সাক্ষাতবাণিজ্য বন্ধে তৎপরতার কথা বললেও খোদ কারা মহাপরিদর্শকের এক আত্মীয়ের কাছ থেকেও টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কারাগারের একজন কর্মকর্তা বলেন, আইজি প্রিজন মহাদয়ের আত্মীয় হয়েও যদি টাকা দিয়ে আসামীর সাথে দেখা করতে হয়, তাহলে এটা খুবই লজ্জাজনক ও দুঃখজনক ব্যাপার। শুধু তার আত্মীয় নয়, দেশের যেকোনো কারাগারে কেন এই রকম অনিয়ম হবে।

আইজি প্রিজন বলেন, অনেক এবং গুরুতর অভিযোগ আছে। তাই বলেছি কোনো কারারক্ষী যেন নেমপ্লেট ছাড়া ডিউটি না করে। অনেক সময় দেখা যায়, নিজের নাম পরিচয় গোপন রাখার জন্য নেমপ্লেট খুলে রাখতে পারে। এই কাজের সাথে কারা জড়িত সেটা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে দর্শনার্থীদেরকেও টাকা না দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। খবর চ্যানেল আইয়ের।



মন্তব্য চালু নেই