‘নতুন সিইসির বক্তব্য আ’লীগের মুখপাত্রের মতো’

নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বক্তব্য আ লীগের মুখপাত্র বা সাধারণ সম্পাদকের মতো বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘নতুন ও পুরাতন সিইসিদের মধ্যে কারো বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র, কারো বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক, নতুন সিইসি যিনি জনতার মঞ্চের সংগঠক, তার পক্ষে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা কীভাবে সম্ভব হবে? তাকে নিয়ে সংশয়, সন্দেহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচিত সরকারের অধীনেই হওয়া উচিৎ। দুই একটা অসুবিধা হবে পরে ঠিক হয়ে যাবে নতুন নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী সরকার কি বাচ্চা ছেলে যে পুতুল ভেঙে দিচ্ছে তার পর যখন আস্তে আস্তে বড় হবে তখন ঠিক হয়ে যাবে? তখন বুঝবে, তখন বড়দের মত আচরণ করবে, যাদের আচরণই হচ্ছে দস্যুবৃত্তি, সবকিছু কেড়ে নেওয়া, দখল করা, ভোট নির্বাচন, মানুষের অধিকার যারা কেড়ে নেয় তারা আবার কবে মানুষ হবে?’
‘আর নতুন নির্বাচিত ইসি বলছেন নির্বাচন নির্বাচিত সরকারের অধীনেই হওয়া উচিৎ, এটাতো নির্বাচিত সরকার নয়। এটা আওয়ামী নির্বাচিত সরকার। সেই সরকারের কথাই বলছেন ইসি। সুতরাং উনি আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের মতো কথা বলবেন এটিই স্বাভাবিক।
সকালে বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘দেশনেত্রীকে বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্যই অসংখ্য নেতাকর্মীরা তার যাত্রাপথের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে উপস্থিত ছিল। কিন্তু বর্তমান একতরফা নির্বাচনের জবাবদিহিহীন সরকারের পেটোয়া বাহিনী আজ বেলা পৌনে এগারোটার সময় বিনা উস্কানিতে মৎস্য ভবন থেকে শুরু করে রমনা পার্ক সংলগ্ন ফুটপাথ ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সামনের ফুটপাথে জমায়েত বিএনপি’র সাধারণ নেতাকর্মী ও সাধারণ পথচারীর ওপর গুলিবর্ষণ ও বেধড়ক লাঠিচার্জের মাধ্যমে আকস্মিক বর্বরোচিত আক্রমণ চালায়। এতে বিএনপি’র অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। জমায়েত এবং ভিড় থেকেই সরকারের মনে ভয় ঢুকেছে। আতঙ্কিত হয়েই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সরকার পুলিশী আক্রমণ চালাচ্ছে। দেশের সম্পদ দখল করার মতো আওয়ামী সরকার গণতন্ত্র ও সংবিধানকে কেড়ে নিয়ে নিজেদের দখলে রেখেছে। আর এই দখলে রাখতে গিয়েই বিরোধী দলশূন্য প্রাঙ্গণ তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশে। এজন্য তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বেচ্ছাচারী, অনিয়ন্ত্রিত ও উচ্ছৃঙ্খলভাবে বিরোধী দলকে দমন করার কাজে লাগিয়ে দিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই