নতুন হেমসওয়ার্থ এখন ঢাকায়!

১৮ই ডিসেম্বর ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের পর্দায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার ছবি ‘ইন দ্য হার্ট অব দ্য সি’। অস্কারজয়ী পরিচালক রন হাওয়ার্ডের পরিচালনায় ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থ। আরও রয়েছেন বেঞ্জামিন ওয়াকার, সিলিয়ান মারফি, টম হল্যান্ড, ব্রেন্ডান গ্লিসন প্রমুখ।

১৮২০ সালে একঝাঁক তিমি মাছের আক্রমণের পরও ৯০ দিন অবিশ্বাস্য লড়াই করে এক জাহাজ-নাবিকের বেঁচে থাকার গল্প নিয়ে নির্মিত এ ছবির ট্রেলার প্রকাশের পর দর্শকদের বেশ ভালো সাড়া দেখা গেছে। পরিচালক জানান, ছবির শেষ পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস অবস্থার মধ্যে থাকবেন দর্শক। পরিচালনায় নিজের দক্ষতার প্রমাণ আগেই দিয়েছেন রন হাওয়ার্ড, যার জীবনের গল্পটাও ছবির মতো। হলিউডে তার অভিষেক শিশু অভিনেতা হিসেবে। আর অনেকের মতো শৈশবের খ্যাতি উদযাপন করতে করতেই বাকি জীবন তিনি পার করে দেননি। নিজের প্রথম ছবি পরিচালনা করেছিলেন ২৬ বছর বয়সে। আর প্রথম ছবিতেই জানান দেন, অভিনেতা থেকে পরিচালক হয়ে ভুল করেননি তিনি।

২০০১ সালে ‘অ্যা বিউটিফুল মাইন্ড’ ছবির জন্য অস্কার জয় করে তো পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন। তাই রন হাওয়ার্ডের ছবি মানেই দর্শকদের নতুন কিছু প্রত্যাশা। ‘ইন দ্য হার্ট অব দ্য সি’ সেই প্রত্যাশা পুরণে কোনো ঘাটতি রাখবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ছবির মূল নায়ক ক্রিস হেমসওয়ার্থ এরইমধ্যে বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন নতুন এ স্বীকৃতি পেয়ে। গত বছর পিপল’স ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের সবচাইতে ‘সেক্সিয়েস্ট পুরুষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। বছর ঘুরতেই সেই পুরুষকে দেখা গেল ভিন্ন এক রূপে। ‘ইন দ্য হার্ট অব দ্য সি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য দিনে মাত্র ৫০০ ক্যালরি খাবার খেয়ে পেশীবহুল সুগঠিত শরীর একেবারে কমিয়ে সরু করে ফেলেছেন তিনি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি প্রকাশের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেই জানিয়েছেন এ কথা। প্রিয় নায়ককে এমন রূপে দেখার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না ভক্তরা। যার ফলে রীতিমত হৈ চৈ পড়ে যায় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। এমন জীর্ণ শরীরের হেমসওয়ার্থকে যেন চিনতেই পারছেন না অনেকে। প্রতিক্রিয়ায় ভক্তদের আশ্বস্ত করতে অবশ্য দ্বিধা করেননি নায়ক। বলেছেন, সিনেমার চরিত্রের প্রয়োজনেই এমনটি করেছেন তিনি। গল্পের জন্য অভিনয়শিল্পীদের অনেক কিছুই করতে হয়। ‘ইন দ্য হার্ট অব দ্য সি’ দেখার পর দর্শকরা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারবেন বিষয়টা। তাই সময় এখন দর্শকদের অপেক্ষার, যার অবসান ঘটতে আর দেরি নেই।



মন্তব্য চালু নেই