নদীতে বাঁধ দিয়ে আ.লীগ নেতার চাঁদাবাজি

নাটোর: গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর বাণিজ্যিক এলাকার সঙ্গে বিলদহর, সিংড়া তথা বগুড়ার সড়ক যোগাযোগ সুরক্ষিত রাখার জন্য নাজিরপুরের নন্দকুজা নদীতে ১২৫ মিটার দৈর্ঘ্য একটি ব্রিজ চালু রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে ব্রিজ থেকে ৫০০ মিটার পূর্বে নাজিরপুর বাজার-কুমারখালী বড়ঘাটে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার প্রস্থ মাটির বাঁধ দিয়ে নতুন একটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। সময় বাঁচানোর লক্ষ্যে মানুষ এখন টাকার বিনিময়ে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে তার দলীয় লোকজন ওই পয়েন্টে অবৈধভাবে মাটির বাঁধ নির্মাণ করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন। বাঁধটির নির্মাণ ব্যয় তোলার বাহানা দিয়ে নদীর দক্ষিণপাড়ে একটি বাঁশের মাচায় বসে পারাপারকারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

তারা আরো জানান, কার্তিক দাশ ও বাবু দাশ নামের ব্যক্তিরা ওই বাঁধের ইজারাদার। বর্ষায় যখন নদীতে পানি থাকে তখন সেখানে তারা চাঁদার বিনিময়ে নৌকায় মানুষ পারাপার করে। আর গ্রীষ্মকালে বাঁশের মাচা।

ঘাটটি তারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা নিয়েছেন বলে জানান চাঁদা আদায়কারী কার্তিক ও বাবু। তারা আরো জানান, জনচলাচলের সুবিধার কথা চিন্তা করেই ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই বাঁধটি তৈরি করা হয়েছে। তারা ওই টাকা তুলতে জনপ্রতি যাওয়া দুই টাকা ও যাওয়া-আসা দিয়ে ৫ টাকা করে এবং সাইকেল, মোটারসাইকেল পারাপার বাবদ ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন।

নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ রাখায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা বা আইনগত কোনো বাধা আছে কিনা সে ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না বলে অবহিত করেন।

তবে নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, মাটির বাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করা ঠিক হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোবারক হোসেন জানান, কোনোভাবেই নদীতে মাটির বাঁধ দেয়া যাবে না। এটা আইনত অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই