নদী ড্রেজিংয়ে ৩ হাজার ২শ’ কোটি টাকার প্রকল্প

নৌপথ সচল করতে ৩ হাজার ২শ’ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। প্রকল্পের এ অর্থ দিয়ে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন করা হবে। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয়ের মধ্যে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক দেবে ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।

জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত এক প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, নৌপথ খনন করে প্রতিবেশী দেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম গতিশীল করা, নৌ-পরিবহন রুট সহজ ও পরিবেশবান্ধব এবং বাংলাদেশ-ভারত নৌরুটে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানো। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল এবং ভোলা জেলায় নদীপথ সংস্কার করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ হবে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, নৌ-ট্রানজিট সচল করতে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংক বড় ধরনের ঋণ দিচ্ছে। বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়াতে প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিবেচনায় প্রকল্পটি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রকল্পটির বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের মধ্যে পরামর্শক ব্যয় বাবদ ধরা হয়েছে ২১৬ কোটি টাকা, নন-কনসালট্যান্সি খাতে ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ধলেশ্বরী নদীতে একটি নতুন জেনারেল কার্গো টার্মিনাল ও বিদ্যমান আশুগঞ্জ টার্মিনাল আধুনিকায়নে ৩২০ কোটি টাকা, বিদ্যমান ৩টি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল আধুনিকায়নে ১৬০ কোটি টাকা, নতুন টার্মিনাল নির্মাণে ১০০ কোটি টাকা এবং বিদ্যমান ১৪টি লঞ্চঘাট উন্নয়নে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই