‘নদী দখলকারীরা এ যুগের রাজাকার’

যারা নদী দখল করে তারা এ যুগের রাজাকার বলে মন্তব্য করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

শনিবার জাতীয় প্র্রেসক্লাবে ‘বেপরোয়া দখলে আদি বুড়িগঙ্গা ও এর ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার এ সভার আয়োজন করে।

শাজাহান খান বলেন, ‘মানুষের যেমন প্রাণ আছে তেমনই নদীরও প্রাণ আছে। মানুষ হত্যার জন্য স্বাধীনতা বিরোধীদের যদি আমরা রাজাকার বলতে পারি তাহলে নদী হত্যাকারীদেরও রাজাকার হিসাবে আখ্যায়িত করতে হবে। এরা হল এ যুগের রাজাকার।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দখল হওয়া খাল-নদী উদ্ধার করা শুরু করে। সারা দেশে এ পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটার নদী খনন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে মোট খাল ছিল ৩৯টি, বর্তমানে আছে ২৬টি, দখল করা হয়েছে ১৩টি, বর্তমান সরকার এ পর্যন্ত উদ্ধার করেছে দুটি খাল। ভবিষ্যতে দখল হওয়া সব খাল উদ্ধার করা হবে।’

মসজিদের নামকরণ করে নদী দখল করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন,‘এরা সত্যিকারের মুসলমান হলে নদী দখল করে মসজিদ বানাতো না। শুধু মসজিদ বানিয়েই শেষ নয়! বিভিন্ন পীরের নামে মাজারও তৈরি করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নদী খননের জন্য ৭ টি ড্রেজার কিনেছিলেন। এরপর কোনো সরকার একটিও ড্রেজার কেনেননি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এক সঙ্গে ৭৪টি, আর এই সময়ে ২০ টি ড্রেজার কিনেছে।’

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- বেলা প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, লেখক গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, পানি বিজ্ঞানী ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই