নরেন্দ্র মোদির যাতায়াতে যানজটের ভোগান্তি

আগে থেকে কোনো ঘোষণা না দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করায় তীব্র যানজটে নাকাল হতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে। প্রথম বাংলাদেশ সফরে আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকায় পৌঁছেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান মোদি। সেখান থেকে সোয়া ১১টার দিকে বেরিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর ঢাকার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের দিকে যায়; সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মোদি। দুপুর সাড়ে ১২টার পর সেখান থেকে বেরিয়ে হোটেল সোনারগাঁওয়ের দিকে যায় নরেন্দ্র মোদির গাড়িবহর।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের চলাচলের জন্য গাবতলী থেকে ধানমণ্ডি আসার পথে এবং সেখান থেকে কারওয়ান বাজারে যাওয়ার পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কারণে মিরপুর রোড ও পান্থপথের সড়ক বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট সব সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে মানিক মিয়া এভিনিউ, আগারগাঁও থেকে খামারবাড়ি, মহাখালী থেকে ফার্মগেইট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নগরবাসীকে আটকে থাকতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। এ ছাড়া মিরপুর রোডের সঙ্গে সংলগ্ন সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পান্থপথ ও আগারগাঁও থেকে শ্যামলী পর্যন্ত সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতেও যানজট ছড়িয়ে যায়।

এ ছাড়া বাংলামোটর থেকে মগবাজার হয়ে মালিবাগ ও মৌচাকসহ সংশ্লিষ্ট সড়কেও যানজট লেগে ছিল। ১টার দিকে নরেন্দ্র মোদির গাড়িবহর সোনারগাঁও হোটেলে ঢুকে পড়লে সব সড়কে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়। বিকালে হোটেল থেকে বেরিয়ে মোদির তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর কারওয়ান বাজারের হোটেলটিতে ফিরবেন তিনি।

রবিবার বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। সকালে তিনি যাবেন লালবাগে ঢাকেশ্বরী মন্দির। এরপর দুপুরে তিনি যাবেন বঙ্গভবনে। বঙ্গভবনের পর গুলশানে ভারতীয় দূতাবাসে যাবেন তিনি। এসব কর্মসূচি থেকে দুপুরে হোটেলে ফিরবেন তিনি। রাতে ঢাকা ছাড়ার আগে তিনি যাবেন শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সেখানে বক্তৃতা দিয়ে সরাসরি বিমানবন্দরে যাবেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই