নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসছে কানাডিয়ান পুলিশ

নাইকোর রিসোর্সের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের মামলায় সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাংলাদেশে আসছেন কানাডিয়ান পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগমের আদালতে এ তথ্য জানান ওই আদালতের দুদকের স্পেশাল পিপি রফিকুল ইসলাম বেনু।

এদিন সাবেক ওই জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বাপেক্স) জিএম মোস্তফা কামাল। গত ১৭ নভেম্বর তার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করে আদালত।

ওইদিন শুধুমাত্র সাক্ষির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। তবে তাকে জেরা শেষ করতে পারেননি আসামির পক্ষের আইনজীবী। সেজন্য বিচারক আগামী ২৪ নভেম্বর তাকে জেরার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। সাক্ষ্য গ্রহনের সময় জামিনে থাকা মোশাররফ হোমেন আদালতে হাজির ছিলেন।

এদিকে মামলাটিতে দুর্নীতি প্রমাণের সহায়তার জন্য কানাডিয়ান পুলিশের দুই কর্মকর্তা লয়েড স্কপ ও গ্রোগারি প্রাউস আগামী ২৪ নভেম্বরই সাক্ষ্য দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন ওই আদালতের দুদকের স্পেশাল পিপি রফিকুল ইসলাম বেনু।

তিনি জানান, ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা চার্জশিটভূক্ত সাক্ষি না হলেও দুর্নীতিটি জোরালো ভাবে প্রমাণের জন্য তাদের সাক্ষি হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।

এর আগে মামলাটিতে আরও ৫ জন সাক্ষি সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরা হলেন- বাপেক্সের সহকারী ব্যবস্থাপক শাম্মী আক্তার, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মাসুল আলম, উচ্চমান সহকারী মো. মোশারফ হোসেন, শাহবাগ থানার এসআই সোমা রানী সাহা ও মামলাটির বাদী দুদকের উপ-পরিচালক এসএম শহিদুর রহমান। তারা মামলাটিতে গত ৪ জুন, ১২ ও ১৭ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন।

মামলাটিতে মোশাররফ ছাড়াও নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফও মামলার আসামি। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন।

২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, কানাডার কোম্পানি নাইকো রিসোর্সেসকে ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত গ্যাস অধিক মূল্যে ক্রয়চুক্তি সম্পাদন করে দেওয়ার জন্য নাইকোর কাছ থেকে আসামি মোশাররফ হোসন ৯৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা মূল্যের ল্যান্ড ক্রুজার জিপ গাড়ি, এবং তার রেজিস্ট্রেশন বাবদ ২৩ হাজার ২৩৫ টাকা এবং কানাডা ও আমেরিকা ভ্রমণ জন্য ৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার ঘুষ গ্রহণ করেন।

মামলাটিতে ২০১২ সালের ২ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক এসএম সহিদুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।



মন্তব্য চালু নেই