নাগরিককে স্মার্ট সেবা দিতে আসছে ই-আইডি

দেশের নাগরিকদের স্মার্ট সেবা দিতে বিশেষায়িত উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একটি ইলেকট্রনিক পরিচয়পত্র বা ই-আইডি নম্বরের মাধ্যমে একজন নাগরিক যেন জীবনের সবক্ষেত্রে কোনও ধরনের জটিলতা ছাড়াই সেবা গ্রহণ করতে পারে, সেই সুবিধা দিতে নাগরিকদের ই-আইডি (ইলেকট্রনিক আইডেন্টিফিকেশন) দেবে সরকার।

তবে এই ই-আইডি কী প্রক্রিয়ায়, কীভাবে এবং কোন বয়সে দেওয়া হবে সেসব কৌশল নির্ধারণ এবং উপায় খুঁজতে ঢাকায় আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে ই-আইডি ফোরাম। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক স্মার্ট কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আগামী ১-৩ ডিসেম্বর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোরাম উদ্বোধন করবেন করবেন বলে জানা গেছে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক-সহ দেশ-বিদেশের নামজাদা প্রযুক্তিবিদরা।

আরও জানা গেছে, ফোরামে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশের প্রায় ৪০০ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। এসব দেশের মন্ত্রী, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, উন্নয়ককর্মীসহ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা প্রতিনিধি দলে থাকতে পারেন।

আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব নাগরিককে একটি সমন্বিত স্মার্ট কার্ড দিতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইসিটি বিভাগ ভাবছে, এমন একটি ই-আইডির প্রচলন করতে যেটি দিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) নিবন্ধনে কাজে লাগবে। একবার যখন এই কার্ড দেওয়া হবে তা যেন ব্যক্তির জীবন সাহাহ্নেও ওই একই থাকে। যা ব্যক্তির পক্ষে মনে রাখা হবে সহজ এবং সহজেই ট্র্যাক করা যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, বাংলাদেশে একজন মানুষকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পরিচয় (নিবন্ধন) ধারণ করতে হয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরি জীবন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্যাক্স নিবন্ধনের সময় বিভিন্ন ধরনের নম্বর নিতে হয়। এতোগুলো নম্বর সবার পক্ষে মনে রাখা কঠিন। এগুলো অনেক ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝামেলাও তৈরি করে। এসব ঝামেলা এড়ানোর জন্য আইসিটি বিভাগ একটি মাত্র ই-আইডি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগ সফল হলে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওই একটি নম্বরই ব্যবহার করা হবে।

শিশুদের জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়ার সময়ই এই ই-আইডি দেওয়া যায় কি না বিষয়টি নিয়ে নীতিনির্ধারকরা ভাবছেন বলে জানা যায়। ফোরামে এই বিষয়টিও আলোচিত হবে।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন দেশের নাগরিকদের যে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তার সঙ্গে ই-আইডি একীভূত করা যায় কি না সেসব নিয়েও ফোরামে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই