নাতির আবদার রাখতে নার্ভাস হয়েছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

নাতির আবদার রাখতে গিয়ে একবার নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নাতির আবদার ছিল, তাকে মজা করে মাছ রান্না করে খাওয়াতে হবে।

সন্তান-স্বজনদের নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ানোর আনন্দের কথা বলতে গিয়ে এ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলের ছেলের আবদার মেটানোর ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নাতি বলল, ‘তোমার (প্রধানমন্ত্রী) হাতের রান্না খাব’।

“আমার হাতের রান্না কেন?

“নাতির জবাব, ‘তোমার হাতের রান্না অনেক মজার’।”

নাতির এমন আবদারে নার্ভাস হয়ে পড়লেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেলাম। কীভাবে রান্না করলে ওর (নাতি) কাছে মজা হবে! এ অবস্থা দেখে পুতুল বলল, ‘মা, তোমাকে তো এত নার্ভাস হতে আগে কখনো দেখিনি। এত নার্ভাস লাগছে কেন?”

প্রধানমন্ত্রী বললেন, “আমি আসলেই নার্ভাস। কারণ ওর (নাতি) মজা কিসে সেটাই ভাবছি।”

নাতির আবদার মেটাতে পরে নিজ হাতে রান্না করলেন প্রধানমন্ত্রী। খাওয়ালেন প্রিয় নাতিকে। তারপর জানতে চাইলেন, “খাবার কেমন হয়েছে, দাদু? জবাবে নাতি বলল, ‘ভীষণ মজা হয়েছে’।”

এই ঘটনা বলার আগে প্রধানমন্ত্রী কর্মজীবী পুরুষ ও নারীদের সারা দিনের কাজের একটা ফিরিস্তিও তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেখা যায় একটি পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনে চাকরি করেন। স্ত্রী বাসায় গিয়ে পরিবার সামলান। ছেলেমেয়ের দেখাশোনা করেন। রান্না করেন। এর মধ্যে আবার স্বামীর আবদারও তাদের রাখতে হয়। আর স্বামীরা সারা দিন কাজ করে বাসায় এসে স্ত্রীদের বলেন, ‘আমি ভী-ষ-ণ ক্লান্ত। আমাকে এক কাপ চা দাও তো।’ কিন্তু তার স্ত্রী যে সারা দিন কাজ করে বাসায় এসে পরিবার সামলাচ্ছেন, তার কী ক্লান্ত লাগে না?”

সংসার ও পরিবারের সুখ ও শান্তির জন্য স্ত্রীর কাজে স্বামী একটু সহযোগিতা করলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুজনে মিলে কাজ করে আনন্দ করতে হবে। একজনের ওপর চাপ দেয়া যাবে না। স্বামীরা যদি রান্না করতে না জানে তাহলে রান্না শিখ নিতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী। পরিবারে আমিও রান্না করি। আমার ছেলেমেয়েকে রান্না করে আমি খাওয়াই। এর মধ্যেও অনেক আনন্দ। আমার নাতিরাও আমার রান্না খাওয়ার জন্য আবদার করে। এটি আনন্দের বিষয়।”



মন্তব্য চালু নেই