নানান রঙের বালির বিস্ময়কর সমুদ্র সৈকত

আমাদের পৃথিবীটা যেমন অনেক সুন্দর তেমনি অনেক বৈচিত্রময়। তার মাঝে কিছু সৌন্দর্য্য এতোই অনন্য যে তা বিস্ময়ের উদ্রেক করে মনে। বিজ্ঞানীরা বার বার প্রশ্নের উত্তর দিলেও আমাদের মন থেকে বিস্ময় কাটে না। কি করে হল, কীভাবে, কেন, ভিন্নতাকে গ্রহণ করা কঠিনই বটে। আজ এমনই ৩টি ভিন্নরকম সুন্দর বীচ তুলে ধরব আপনাদের সামনে যা দেখলে অভিভূত হয়ে যাবেন আপনি!

গোলাপি বালির বিচ, বাহামা

বিচের বালি সাদা দেখেই অভ্যস্ত আমরা। সেখানে আর কোন রং নয় একেবারে গোলাপী? এও সম্ভব? জ্বী! ঝকঝকে গোলাপি বালির বিচের দেখা পেতে আপনাকে যেতে হবে বাহামায়। বাহামার অসংখ্য চমৎকার বিচের মধ্যে গোলাপি বালির বিচটি আকর্ষণ করে সবাইকে। ৩ মাইল দীর্ঘ বিচটি যেন শান্তির ওপর নাম। সমুদ্রের পানি এখানে উষ্ণ এবং শান্ত। এই বিচ গোলাপী হওয়ার কিছু ব্যাখ্যা আছে অবশ্য। ছোট্ট লাল এক প্রকারের জীব এই গোলাপী রং এর জন্য দায়ী। এই জীবগুলো শেল এবং মৃত কোরালের উপর জন্মায়। পরে সেই শেল বা কোরালগুলো সমুদ্রের পানিতে পড়ে এবং ঢেউয়ের সাথে ধুয়ে বিচে চলে আসে। অসংখ্য গোলাপি শেল এবং কোরাল বালির সাথে মিশে একটা গোলাপি রং তৈরি হয়।

পাপাকোলিয়া সবুজ বালির বিচ, হাওয়াই
সবুজ ঘাস হয়, গাছের পাতা হয়, কিছু কিছু প্রানীর গায়ের রং হয় সবুজ। বালিও কিনা সবুজ রঙের হয়? একেবারে গুড়ো ঘাসের মত সারা বিচজুড়ে এই বালি যেন রচনা করেছে এক অনন্য কবিতা। মিশেছে সমুদ্রের নীলের সাথে। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, ঘন ঘাসে ঢাকা কোন মাঠ সমাপ্তি খুঁজে নিয়েছে সমূদ্রে অথবা মাঠকে গ্রাস করছে উত্তাল ফেনিল স্রোতরাশি। লাভা দ্বারা গঠিত মিনারেল অলিভাইন যা কিনা সমুদ্রের পানি দিয়ে শীতল হয়েছে কালক্রমে তা এই সবুজ রং ধারণ করেছে।

পুনালু কালো বালির বিচ, হাওয়াই
এক হাওয়াইতে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে আরও বিস্ময়। এবার বালির রং একেবারে কালো। বাসল্ট লাভার কারণে বিচের বালির রং হয়েছে কুচকুচে কালো। তপ্ত লাভা যতই পেয়েছে সমূদ্রের শীতলতার স্পর্শ ততই পরিণত হয়েছে বালিতে এবং রং হয়েছে গভীর নিকশ রাতের মত অন্ধকার। হাওয়াই ভ্রমণে বিচই আকর্ষণ। তার মাঝে এই বৈচিত্র মুগ্ধ করবে আপনাকে। কালো বালির সৈকতের এক পাশে নীলাভ সমুদ্র আর আরেক পাশে সবুজ গাছের সারি, ঘন বন। অদ্ভুৎ রঙের বিন্যাস অবাক করে ভ্রমণকারীদের আজও।



মন্তব্য চালু নেই