‘নামাজ পড়তে চাইলে অন্যরা রুমে জায়গা করে দেন’

আমি দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত এক সংস্কৃতিতে বড় হয়েছি। আমার পথ ঠিক রেখে ধর্মীয় রীতি পালন করা মোটেও কঠিন মনে হয় না। দলের কোচ এবং খেলোয়াড়রাও এ ব্যাপারে আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেন। এ কারণে আমি বরং বেশি সম্মান পাই। অনেকেই নিজেদের ঘরে আমার নামাজের জায়গা করে দেন।

সম্প্রতি এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ইমরান তাহির এসব কথা বলেন।

ইমরান তাহির বলেছেন তিনি রমজান মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের জার্সির স্পন্সর ‘ক্যাসল লেগার’-এর লোগো রাখবেন না তার জার্সিতে। কোম্পানির কাছ থেকে এই অনুমতিও নিয়েছেন। ‘ক্যাসল লেগার’ একটি বিয়ার কোম্পানি। ইসলাম ধর্মে মাদক বা অ্যালকোহল পান ও প্রচার করা হারাম বা নিষিদ্ধ। সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইমরান তাহির।

তাহির আরও বলেন, নিজের ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন এবং পেশাদার খেলাধুলা একসঙ্গে পালন করা অসম্ভব কিছু নয়। আপনি যদি সঠিক পথের ওপর থাকেন তাহলে এটা একেবারেই সোজা। আমি চেষ্টা করি রমজান মাসের একটি রোজাও না ভাঙার। রোজা রেখেই মাঠে নামার চেষ্টা করে থাকি। তবে ক্রিকেটের কারণে যদি কোনোটি মিস করি তাহলে পরে সেটা আদায় করি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে এ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একশ’র বেশি ম্যাচ খেলেছেন ইমরান তাহির। পাকিস্তানি বংশদ্ভুত এই খেলোয়াড় ক্রিকেটের মধ্যে থেকেই ধর্মীয় রীতি-নীতি নিয়মিত মেনে চলেন অনায়াসেই।



মন্তব্য চালু নেই