নারায়ণগঞ্জ অপারেশন: স্থানীয়রা কখনো দেখেনি তামিমকে!

জুলাই মাসে জঙ্গিরা বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পর প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও তামিম চৌধুরীসহ নিহতদের ছবি দেখার পর এলাকায় কখনও তাদের দেখেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়দের অনেকে। নারায়ণগঞ্জ সদরের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থানের পাশে অবস্থিত জঙ্গিদের ভাড়া নেওয়া বাড়িটিকে নুরুদ্দিনের বাড়ি বলেই স্থানীয়রা চেনে। বাড়ির কাছের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি দোকানের নাম সায়মন স্টোর। এর সত্ত্বাধিকারী লিটনকে তামিমসহ অন্যদের ছবি দেখানো হলে, তাদের কাউকে তিনি চিনতে পারছেন না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘এমন চেহারার কেউ দোকানে কখনও এসেছে বলে মনে পড়ে না।’খবর বাংলা ট্রিবিউনের।

স্থানীয় চায়ের দোকানদার মোক্তার ও জাহাঙ্গীরকে ছবি দেখানো হলে তারাও চিনতে পারছেন না বলে জানান।

স্থানীয় এক রেস্তোরাঁর মালিক আব্দুল আজিজ। ছবি দেখে কাউকে চিনতে না পারলেও তিনি জানান, অপরিচিত কয়েকজন এসে প্রায়ই সন্ধ্যায় খাবার কিনে নিয়ে যেতো।

বাড়ির নিচে অবস্থিত টিনসেড বাড়ির বাসিন্দাদের একজন খাজা আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পরশু (২৫ আগস্ট) অপরিচিত দুই ব্যক্তিকে এ বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তাদের একজন ঘর ফাঁকা আছে কিনা জিজ্ঞেস করে। তাকে ঘর দেখাতে নিয়ে গেলে অপরজন তিন তলায় উঠে পড়ে।

নুরুদ্দিনের বাড়িসংলগ্ন টিনসেড বাড়ির অপর এক বাসিন্দা মোক্তার বলেন, ‘তিন তলার বাসিন্দাদের খুব একটা ওঠানামা করতে দেখিনি।

নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থান নামক এলাকার তিন তলা এই বাড়িটির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ানের ভাষ্যমতে, ‘মুরাদ’ ও ‘রানা’ নামে দুই ব্যক্তি তৃতীয় তলার উত্তর পাশের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিতে এসে নিজেদের ওষুধ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেয়। পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে পরিচয়পত্রসহ কাজসংশ্লিষ্ট কিছু কাগজপত্র দেখায় তাকে। বাড়িওয়ালা নুরুদ্দিন ওই পরিচয়পত্রসহ কাগজপত্রাদি স্থানীয় এক দোকানি তোফাজ্জল খোকনকে দেখান।

তোফাজ্জল খোকন এ বিষয়ে বলেন, ‘কাগজপত্র দেখে সেগুলো আসল বলে মনে হয়। বাড়ির মালিক নুরুদ্দিনকে তা জানাই।’

বাড়ি ব্যবহারে জঙ্গিদের কৌশল সম্পর্কে পুলিশের এডিসি ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘চাকরি করে এমনটা বোঝানোর জন্য ওরা ফজরের নামাজের পর দুয়েকজন ঘর থেকে বেরিয়ে যেতো। দুপুরে আবার ফিরে আসতো।’

জঙ্গিদের কেউ দেখতে না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘জঙ্গিরা যখন কোনও বাড়ি ভাড়া নেয়, চলাফেরা খুব কম করে থাকে। বাইরে বেরোয় খুব কম। এর ওপর তামিম চৌধুরীর চেহারা ছিল বহুল প্রচারিত।’



মন্তব্য চালু নেই