নারিকেল তেল নাকি আমন্ড তেল- কোনটি আপনার চুলের জন্য ভালো?

নারিকেল তেল অথবা কাঠবাদামের তেল এর যে কোনটি হতে পারে আপনার নরম ও সিল্কি চুলের জন্য ভালো বন্ধু। এরা উভয়েই হালকা গঠনের, ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ এবং এদের খুব সহজেই পাওয়া যায়। আপনার চুলের জন্য কোনটি বেশি উপকারি তা জেনে নেই চলুন।

নারিকেল তেলের গুণাবলী :
কোঁকড়া চুলের জন্য – নারিকেল তেল কোঁকড়া চুলের জন্য অত্যন্ত ভালো। এই তেল ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মত পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ যা চুলকে যথেষ্ট পুষ্টি সরবরাহ করতে সক্ষম। চুলের গোড়ায় উষ্ণ নারিকেল তেল ম্যাসেজ করলে চুলের হারিয়ে যাওয়া দীপ্তি ও চাকচিক্য ফিরে আসে এবং আপনার চুল সাজানোর যোগ্য হয়ে উঠবে। শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্থ চুলকে নরম কোমল করতে সাহায্য করে এই তেল।

চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে – চুল আঁচড়ানোর সময় আপনি প্রায়ই দেখেন যে, অনেক চুল উঠে আসছে চিরুনিতে। এই তেলে সম্পৃক্ত চর্বি থাকে যা মাথার তালুকে আর্দ্র রাখে। স্কাল্প আর্দ্র থাকলে নতুনভাবে চুল গজায়। যদি আপনার চুল পাতলা হয়ে থাকে তাহলে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। এটি হেয়ার ফলিকলকে উদ্দীপিত করে ও চুল পড়া প্রতিরোধ করে।

অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করে – নারিকেল তেল শুধুমাত্র চুলকে শক্তি প্রদান ও চুলের গোড়াকে শক্তিশালীই করে না বরং অকালে চুল পাকাও প্রতিরোধ করে। ১০০ মিলিলিটার নারিকেল তেলের সাথে আমলা গুঁড়া, মেথি ও কারিপাতা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে একদিন মাথায় লাগিয়ে সারারাত রাখুন ও সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

আমন্ড তেলের গুণাবলী :
চুল পড়া কমায় – চুল গজাতে আমন্ড বা কাঠ বাদামের তেল দারুন ভাবে কাজ করে। এই তেল ভিটামিন ই ও ডি তে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান যেমন- ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামেও সমৃদ্ধ যা শুষ্ক ও ভঙ্গুর চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া কমায়।

লম্বা ও উজ্জ্বল চুলের জন্য – যদি চুল বড় করতে চান তাহলে নিয়মিত আমন্ড তেল ব্যবহার করুন। আমন্ড তেলের পুষ্টি উপাদান আপনার চুলকে স্বাস্থ্যবান রাখতে, শক্তিশালী করতে, মোটা করতে ও দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এতে ম্যাগনেসিয়াম ও থাকে যা চুলের ভঙ্গুরতা কমায় এবং চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।

খুশকি দূর করে – আমন্ড তেল খুশকি থেকে মুক্ত করতে পারে। এতে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকে যা মাথার তালুর ইনফ্লামেশন দূর করতে পারে। এটি একটি চমৎকার প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। এতে ভিটামিন বি, বি২, বি৬ ও ই থাকে যা মাথার তালুর তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং খুশকি প্রতিরোধ করে। আমন্ড তেল ম্যাসেজ করার জন্য সামান্য আমন্ড তেল ২-৩ মিনিট গরম করে নিন। এবার এই উষ্ণ তেল মাথার তালুতে আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করুন এবং চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। সারারাত রেখে দিয়ে সকালে শ্যাম্পু করুন।



মন্তব্য চালু নেই