নারীর ‘বুকের দুধ’ খাওয়া যে বেক্তির নেশা! (ভিডিও)

বুকের দুধ পানে আসক্ত ইংল্যান্ডের ড্যানি। প্রতিবারে ১০০ মিলিলিটার করে দুধ পান করেন তিনি। বিশ্বস্ত মহিলাদের কাছ থেকে সংগৃহীত দুধ সপ্তাহে কয়েকবার পান করেন ড্যানি। তার ধারণা এতে পেশিশক্তি বাড়ে।

৩২ বছরের ব্রিটিশ নাগরিক ড্যানি ডেভিডসন। তার আসল নাম অ্যাসেক্স। পেশায় তিনি শরীর চর্চা প্রশিক্ষক। তিনি লন্ডনের উত্তর- পূর্ব এলকায় বসবাস করেন। তার নিজের একটি শারীরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, যেখানে তিনি মানুষকে শরীর শিক্ষার প্রশিক্ষণ দেন।

ড্যানির বিশ্বাস, পেশি তৈরির জন্য নারীর স্তনের দুধ সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। শরীর বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ হরমোন রয়েছে নারীর দুধে, যা পেশী শক্তিশালী করে। স্তনের দুধ তার শরীর গঠনে সহায়ক বলে দাবি তার। তাই উত্তর ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্থান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্বস্ত মহিলাদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করেন তিনি।

যদিও তার বিশ্বাসকে সমর্থন দেওয়ার মতো তেমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। বরং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইন থেকে সংগৃহীত বুকের দুধ পানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। হেপাটাইটিস ও এইডসের মতো ঘাতক ব্যাধি হতে পারে।

কীভাবে নারী স্তনের দুধ পানে আসক্তি হলো ড্যানির? ড্যানি বলেন, ‘আমি জিমে হালকা একটু ব্যথা পেয়েছিলাম। ব্যথা আরো বাড়লেও এটি সারানোর কোনো ওষুধ, ভিটামিন বা হরমোন নিতে চাইনি। তা ছাড়া শরীরকে আরো বিরাট আকৃতির করতে কোনো কৃত্রিম ব্যবস্থাও গ্রহণ করিনি। কারণ, আমি দেখেছি যে- কোনো কৃত্রিম হরমোন বা ভিটামিন নিলে বৃদ্ধ বয়সে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।’

ফিটনেস ধরে রাখার প্রতি ড্যানির বিশেষ ভালবাসা রয়েছে। কীভাবে কৃত্রিম উপায় ছাড়া শরীর বাড়ানো যায়, সেটাই ছিলো ড্যানির ভাবনার বিষয়।

একদিন ড্যানির জিমে রাগবি দলের বিরাট দেহের কিছু খেলোয়াড় আসেন। তারা ড্যানিকে এ ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দেন। তারা এও বলেন, নারীর স্তনের দুধ পানের মাধ্যমে তারা তাদের পেশি বড় করেছেন। ড্যানি প্রথমে তাদের কথা বিশ্বাস করতে পারেননি। নারীর স্তনের দুধ পানে পেশি বৃদ্ধির ব্যাপারটি নিয়ে তার সন্দেহ হয়। তবে তিনি স্তনদুগ্ধ পানের ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন দ্রুত।

ড্যানি বলেন, ‘আমি যখন দুধ খাওয়া শুরু করি, তখন বড় ধরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করি শরীরে। আমার উচ্চতা ও শক্তি দুটোই বৃদ্ধি পায়। এ দুধ পানের বিপদ সম্পর্কেও আমি খুব সচেতন। কিন্ত ল্যাবরেটরিতে এটি পরীক্ষা করতে না পারার কারণে বিপদের একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়।’

ড্যানির বিশ্বাস, মায়ের দুধ পানে শিশুদের যেভাবে শরীরের বৃদ্ধি ঘটে, তেমনি পূর্ণবয়স্ক কোনো ব্যক্তিরও নারীর দুধ পানে দেহের বৃদ্ধি ঘটবে। এর সাথে পেশিও বাড়বে। কঠোর পরিশ্রমের পর উচ্চমানের প্রোটিন, দুধ, ডিম, মুরগির মাংস এবং নারীর স্তনের দুধ খাওয়া উচিত। এসব শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।

ড্যানি বলেন, ‘নারীর দুধের স্বাদ মিষ্টি কিন্তু একটু তেতো। এ দুধ বেশ ঘন যা খুবই সুস্বাদু। প্রকৃতপক্ষে এ দুধ খুবই ভালো, যা সবাই খেতে পারে।’ তবে এ দুধ পানের ব্যাপারে ড্যানি সর্তক করে বলেন, ‘যাদের পেটের সমস্যা আছে, তাদের এর স্বাদ নেওয়ার দরকার নেই।’

ড্যানির স্ত্রী ডেবি তার স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বেশ সুখি। তবে স্বামীর এ অভ্যাস নিয়ে তিনি বেশ ভীত। এর মাধ্যমে স্বামী কোনো সমস্যা বা বিপদে পড়েন কিনা এ আশঙ্কা তাকে চিন্তিত করে।

ডেবি বলেন, ‘ড্যানি দুধ সংগ্রহের জন্য সপ্তাহে ২০ থেকে ৪০ পাউন্ড খরচ করেন। গত তিন বছর ধরে এটি করে যাচ্ছে সে। আর দিন দিন সে নারীদের স্তনের দুধের প্রতি আরো আসক্ত হয়ে পড়ছে।’

নয় বছর আগে ড্যানি ও ডেবির পরিচয় হয়। তখন ড্যানির বুকের সাইজ ছিলো মাঝারি ডাবল এক্সেল, যা এখন আরো বেড়েছে। ডেবি বলেন, ‘সে অনেক সুঠামদেহী, এজন্য তাকে আমি অনেক পছন্দ করি। আমি খুবই ছোট একজন মানুষ, আমার নিরাপত্তার জন্য ড্যানি খুবই দরকারি। সে আমার রক্ষাকারী।’

ডেবি বলেন, ‘আমি আমার নিজের স্তনের দুধ তাকে পান করতে দিতে পারি। তবে আমাদের শিশুরা তা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই আমি তাকে নিজ স্তনের দুধ পান করতে দিই না, আগে আমার সন্তান।’

তিনি আরো বলেন, ‘ড্যানি যখন আমাকে নারী স্তনের দুধ পান করার কথা বলে, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। ভেবেছি সে আমার সাথে মজা করছিলো। এটি আমাকে আঘাত করেছিলো, কারণ এটি ছিলো অমার্জিত। আমি চিন্তা করেছিলাম, এটি আমাকে কষ্ট দেবে। আমি এখন আর এসব ব্যাপারে কোনো মনযোগ দিচ্ছি না। তবে ড্যানি যখন আমার সামনে অন্য নারীদের দুধ পান করে, আমি তখন খুব বিস্মিত হই।’

এ ব্যাপারে ড্যানি বলেন, ‘আমি কাউকে আঘাত করার জন্য এটি করি না। আমার জিমের কিছু গ্রাহক এ দুধ পানের চেষ্টা করেন। কিন্তু অনেকের কাছে এটি বেশ বিরক্তিকর। মানুষ এটি ভালবাসুক বা ঘৃণা করুক, আমি বুকের দুধ ভালোবাসি।’

https://youtu.be/MLCKkc3f-sQ



মন্তব্য চালু নেই