নারী দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা

ওমর ফারুক সোহান: ১৯১০ সালের ৮ মার্চ ডেনমার্কের কোপেন হেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটাকিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

প্রথম দিকে, সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে নারীর মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করতো ।

সভ্যতার উন্নয়নের ফলে এখন দিনটি পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো এবং নারীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন করা।

২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রতিপাদ্য বিষয়  অধিকার, মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান ।

এবারের নারী দিবসে কি ভাবছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা  , তাই জানাচ্ছেন আমাদের প্রতিনিধি ওমর ফারুক সোহান

প্রত্যাশা প্রমিতি সিদ্দিক পড়াশুনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী দিবসে তার ভাবনা – আজ নারীদেরকে দুর্বল ভেবে তাদের মূল্যায়িত করার কোনো দরকার নেই। আজ নারীরাও যে পারে পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ।  এখন নারীরাও এগিয়েছে সামনের কাতারে, আমি গর্ভিত আমি নারী ।

তানিয়া তানি পড়াশুনা করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী দিবসে তার ভাবনা – ক্ষমতা বন্টন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেএে নারী-পরুষের মাঝে অনেক অসমতা বিদ্যমান।এই আসমতা আমরা চাই না । বিভিন্ন কাজে উন্নয়নের মূলধারায় নারী হিসাবে নয় মেধার ভিওিতে করতে হবে।তবেই সমতা আসবে এর আগে না

রুমানা বর্ষা পড়াশুনা করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী দিবসে তার ভাবনা – নারীকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভাবা হয় বলেই তাদের অধিকারের বিষয়ে সবাই এত সোচ্চার। তার মানে এই নয় আমাদের সমাজে পুরুষরা নির্যাতিত হচ্ছেন না। কিন্তু নারীর অধিকার বঞ্চনার ব্যাপারে যেভাবে কথা বলা হয়, পুরুষের বিষয়টি ঠিক সেইভাবে আলোচিত হয় না। সন্দেহ নেই যে, পুরুষের তুলনায় অধিক সংখ্যক নারী অধিকার বঞ্চিত তার এর জন্য নারী পুরুষ সবাইকে সোচ্চার হতে হবে ।

রাক্কা আজিম পড়াশুনা করছেন ইংরেজি সাহিত্যে ইডেন মহিলা কলেজে নারী দিবসে তার ভাবনা – নারী ও পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না । নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন এই বিশ্বাসকে মনে প্রাণে ধারণ করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে । আমাদের এ বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে , তাহলে সভ্যতার উন্নয়ন সম্ভব ।

সাহিদা আক্তার জলি পড়াশুনা করছেন ঢাকা ইন্টান্যাশনাল  ইউনিভার্সিটিতে নারী দিবসে তার ভাবনা –অধিকার, মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান এর বাস্তবায়ন আমাদের মানব সভ্যতাকে কতটা সমৃদ্ধ করবে সেই বির্তকে জড়াতে চাই না। বরং আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের, ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।

মাহফুজা আক্তার পড়াশুনা করছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী দিবসে তার ভাবনা  – অর্থনৈতিক বা লাভজনক কর্ম থেকে নারীকে সড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে পঙ্গু করে রাখে আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজ। বিভিন্ন লোকো কথায় এবং ধর্মের নামে নারীকে হেয় করে দেখা হয়, নারীর কোনো অধিকার তো দূরের কথা নারীর কোনো আকাঙ্খাও থাকতে পারে না। কবে এ সমাজ বুঝবে যে নারী উন্নয়ন ছাড়া কখনো কোন সমাজের তথা দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। কেননা এক জন পুরুষ যেমন সমাজের অংশ তেমন এক জন নারীও সেই সই সমাজেরই অংশ। নারী পুরুষ মিলেই হয় মানব জাতি ।



মন্তব্য চালু নেই