নারী প্রতীক নিয়ে ইসির ভুল স্বীকার

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে নারী প্রতীকের বিষয়ে ভুল স্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মো্. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নারী কাউন্সিলর পদের যেসব প্রতীক নিয়ে নারীসমাজ অপমানিত বোধ করছে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতীক রাখা হবে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে সকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নারী প্রতীকের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ইসিতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। এরপরেই ইসি সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।

নারী প্রতীকের বিষয়ে ইসি ভুল স্বীকার করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, নির্বাচন কমিশন নারী প্রতীকের বিষয়ে ভুল স্বীকার করছে। এটা ভুল হয়েছে। নারী প্রতীকের বিষয়ে সিইসি ইতিমধ্যে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। যাতে করে যেসব প্রতীক নিয়ে আপত্তি, সেগুলো আগামী নির্বাচনে যেন রাখা না হয়। এ কারণে আমরা আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে এ ধরনের প্রতীক রাখব না।

বিএনপির প্রতীক নিয়ে আপত্তির বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে প্রতীক পরিবর্তনের দাবি করেছে। কিন্তু এ সময়ে প্রতীক পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনবিধি পরিবর্তন করতে হবে। এবারের নির্বাচনে যেহেতু তফসিল ঘোষণার পরেই কমন ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে সেহেতু প্রতীক পরিবর্তন করতে হলে ছাপানো ব্যালোট পেপার বাতিল করতে হবে। কিন্তু এত অল্প সময়ে তা সম্ভব নয়।’

আগামীতে প্রতীক নির্ধারণ করতে নারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি প্রয়োজহন হয় তাহলে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। দেখা যাক কি হয়। এই নির্বাচনটা হোক তারপর এসব নিয়ে কথা বলা যাবে।’

ভোটকেন্দ্রে নারীর নিরাপত্তার বিষয়ে মহিলাদলের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটা নির্বাচনে নারী ও প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া আছে।

এক পৌরসভায় আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধির বাইরে কিছু করা হবে না। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।



মন্তব্য চালু নেই