আশরাফ নৈতিক সিদ্ধান্তে ঠিক ছিলেন

হাসিনার অভিযোগ প্রমাণে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি বিএনপির

গত তিন মাসে পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনের বিএপি কার্যালয়ে এক সংয়বাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে এ দাবি জানান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

নাশকতায় অভিযুক্ত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালোদা জিয়ার বিচারে বিশেষ ট্রাইবুনাল করা হবে- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিপন বলেন, ‘এ অভিযোগের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আর খালেদা জিয়ার নির্দেশের কোনো প্রশ্নই আসে না।
তাই শেখ হাসিনার অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’

আশরাফ নৈতিক সিদ্ধান্তে ঠিক ছিলেন
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরানোর কারণ হিসেবে নতুন প্রকল্প নিয়ে সরকারের সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করেছে বিএনপি। গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘একনেক’র একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি সংসদ সদস্যকে ২০ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে। যেখানে আশরাফের আপত্তি ছিল। এ কারণে তিনি গত একনেক সভায় উপস্থিত ছিলেন না। নৈতিকভাবে তিনি এটা ঠিক করেছেন।’

শনিবার দুপুরে রাজধানী নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন একথা জানান।

সৈয়দ আশরাফকে সরানোর প্রসঙ্গে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এটা নিজস্ব বিষয়। তবে আমার জানা মতে মন্ত্রী হওয়ার জন্য তার কোন আগ্রহ ছিল না।’ তবে তার মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি প্রসঙ্গে সরকার ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে বিষয়টি স্পষ্ট করা উচিত বলেন মনে করেন তিনি।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে অশুভ শক্তি আসতে পারে- সৈয়দ আশরাফুলের এ বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বক্তব্যের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে অশুভ শক্তির উদ্ভব গড়বে কিনা জানি না, তবে বিকল্প শক্তির উত্থান হতে পারে।’

আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত কোন নির্বাচন বয়কট করেনি- আশরাফুল ইসলামের এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে রিপন বলেন, আমার মনে হচ্ছে রাজনীতি সম্পর্কে আশরাফুলের কম ধারণা রয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ ১৯৮৮ সালে নির্বাচনে যায়নি এবং ২০০১ সালে বিএনপির অধীনে যে নির্বাচন হয়েছিল সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও নির্বাচনে অংশ নেননি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা-হাসিনা একই বৃন্তে দুটি ফুল



মন্তব্য চালু নেই