নাসিরনগরের ঘটনায় মোকতাদির চৌধুরীর ওপর ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের মুলতবি সভার শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শেখ হাসিনা উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ওকে আমি জেলার সভাপতি বানিয়েছি। এখন ও খুব বাড়াবাড়ি করছে।’

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হককে বহিষ্কারের ঘটনা টেনে তিনি বলেন, ‘ও কীভাবে দলের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্যকে বহিষ্কার করে?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মোকতাদিরকে আমি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেবো। আজ তো আসেনি।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বেশ কয়েকজন নেতা এসময় উপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় কেন্দ্রীয় সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না।

যৌথ মুলতবি সভা শেষে গণভবনের ব্যাঙ্গুয়েট হল থেকে বের হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাসিরনগরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পরোক্ষভাবে মোকতাদির চৌধুরীকে দায়ী করেন।

সভায় মার্কিন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়। অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন ট্রাম্পের বিজয়কে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেন এবং দলের আরেক নেতা এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন।



মন্তব্য চালু নেই