নাস্তিকতা চর্চায় অভিযুক্ত তরুণের ১০ বছরের কারাদণ্ড সৌদিতে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজেকে নাস্তিক বলে দাবি করে টুইট বার্তা পোস্টের অভিযোগে সৌদি আরবে এক তরুণকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। একই সঙ্গে দুই হাজার বেত্রাঘাতেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শনিবার ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটারে যা লিখেছেন সে বিষয়ে তওবা করতে অস্বীকার করেছেন ওই তরুণ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, টুইটারে যা লিখেছেন; সেটাতে তার বিশ্বাস রয়েছে। এরপরই ২৮ বছর বয়সী ওই তরুণকে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

কট্টরপন্থী ইসলামি রাষ্ট্র সৌদি আরবের ধর্মীয় পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। পর্যবেক্ষণের পর পুলিশ অন্তত ৬০০টি টুইট পেয়েছে; যেখানে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ত্ব অস্বীকার, কুরআনকে উপহাস ও সকল নবীকে মিথ্যাবাদী বলে তুলে ধরা হয়েছে।

আদালত কারাদণ্ড, বেত্রাঘাতের পাশাপাশি ওই তরুণকে ৪ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছেন। এর আগে, সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আব্দুল্লাহ দেশটিতে নাস্তিকতা চর্চাকে ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত করে একটি আইন পাস করেছিলেন। এ আইনের অাওতায় ওই তরুণকে সাজা দিয়েছেন আদালত। আইনটি নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা উপ-পরিচালক জো স্টর্ক বিতর্কিত ওই আইন পাসের সময় বলেছিলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের নীতি সম্পর্কে কোনো ধরনের সমালোচনা সহ্য করে না। তবে সাম্প্রতিক এই আইন ও প্রস্তাবনার মাধ্যমে সমালোচনামূলক মত ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিহ্নত করেছে; যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।



মন্তব্য চালু নেই