নাড়ির টানে বাড়ির পানে নগরবাসী

আবু রায়হান মিকাঈল : দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। কাগজ কলমে বৃহস্পতিবার ছিল সরকারি অফিস আদালতের শেষ কর্মদিবস। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের টানা ৬ দিনের ছুটি। নগর জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে শহর ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। শেষ কর্মদিবসে ভোর থেকেই ঢাকার কমলাপুর, গাবতলি, সদরঘাট, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ছিলো মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

গাবতলি বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মিরপুর সড়ক। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সড়কের ব্যস্ততাই বলে দেয় শুরু হয়েছে ঈদ যাত্রা। গাবতলী বাস টার্মিনালের যাত্রীদের ছেড়ে যাওয়া বেশিভাগ বাসের গন্তব্য পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ঘাট। কিন্তু দৌলতদিয়া পাড়ের চারটি ঘাটের দুটি ঘাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সময়মতো আসছে না বাস। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই অঞ্চলের যাত্রীরা। বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগেই ঘাট সংস্কারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

সড়ক পথে দক্ষিণের যাত্রীদের ভোগান্তির রেশ কিছুটা হলেও পরেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। পন্টুন থেকে শুরু করে লঞ্চের কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাই নেই। লঞ্চ টার্মিনাল পরির্দশন শেষ পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়া মানুষদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

সদরঘাট লঞ্চ আর গাবতলির বাস টার্মিনালের চেয়ে কিছু হলেও ভীড় কম কমলাপুর রেলস্টেশনে। শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়ায় খুশি ব্যস্ত নগরবাসী। কমলাপুর রেল স্টেশনের মতো চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ছিলোও একই চিত্র। গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনেই ছিলো উৎসবপ্রিয় মানুষে ঠাসা।

আগামী কয়েকদিন ট্রেনে যাত্রীদের এই চাপের কথা মাথায় রেখে প্রায় প্রতিটি ট্রেনেই বিশেষ বগি সংযোজন করা হয়েছে, যোগ করা হয়েছে ঈদের স্পেশাল ট্রেন। রেল পথে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নেত্রকোনাগামী নতুন ট্রেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।



মন্তব্য চালু নেই