না.গঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণে চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষক আটক

নারায়ণগঞ্জ : মিষ্টি দিতে গিয়ে জেলা সদরে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী।

শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার গোগনগর এলাকায় তাজেক প্রধান উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইব্রাহিম মিয়া ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি গোগন নগর এলাকার হারুন রশিদের ছেলে।

ভিকটিম বলেন, ‘স্যার ক্লাসে একা পেয়ে আমাকে জাপটে ধরেন।’

অভিযুক্ত শিক্ষক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই ছাত্রী আমার মেয়ের মতো। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ অভিযোগ এনে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে।’

ওই স্কুলের প্রধান রবিন বলেন, ‘রোয়ানুর কারণে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই স্কুলে তেমন ছাত্র-ছাত্রী আসনি। তাই আমরা সকল শিক্ষক সিদ্ধান্ত নিয়েছি ছুটি দেওয়ার। এমন সময় হইহুল্লা শুনে বেরিয়ে দেখি আমাদের এক সহকারী শিক্ষককে মারধর করা হচ্ছে। কেন মারধর করছে তা এখনও পরিস্কার ভাবে কিছু জানতে পারিনি।’

অভিযুক্ত শিক্ষক ইব্রাহিম বলেন, ‘ওই ছাত্রীর খালা আমাদের স্কুলে তার এক আত্মীয়কে এসএসসি রেজিস্ট্রেশন করতে বলেন। সময় না থাকায় তাকে আমি ফেরিয়ে দেই। এছাড়া ওই ছাত্রীর সাথে স্কুলের এক ছাত্রের সাথে সর্ম্পক হয়। তা জানাজানি হলে তার পরিবার আমাদের কাছে আসে। আমি সমধান করে দেই। সে থেকে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারে লোকজন আমার ওপর ক্ষিপ্ত।’

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় ইব্রাহিম নামে এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্থুতি চলছে।



মন্তব্য চালু নেই