নিখোঁজের চারদিন পর শিশুর পেটকাটা লাশ উদ্ধার

কল্যান কুমার চন্দ, বরিশাল প্রতিনিধি: আগৈলঝাড়া উপজেলায় নিখোঁজের চারদিন পর শিশু সজিব মজুমদারের (১২) পেটকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রবিবার সকালে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা সঞ্জিত মজুমদার বাদি হয়ে অশোক হালদার, অশ্রু হালদারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের সঞ্জিত মজুমদারের পুত্র বাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র সজিব মঙ্গলবার সকালে তার দাদা যোগেশ মজুমদারের সাথে বাটরা বাজারে এসে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধ্যান না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিখোঁজ শিশুর বাবা সঞ্জিত মজুমদার আগৈলঝাড়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।

ওসি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কোদালধোয়া গ্রামের একটি মাছের ঘেরে সজিবের পেট কাটা নাড়িভুরি বের হওয়া ভাসমান লাশ দেখে স্থানীয়রা আগৈলঝাড়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ শনিবার রাত আটটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন।

নিহত শিশুর পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি নিহত সজিবের বাবা সঞ্জিত এর সাথে একই গ্রামের অতুল হালদারের পুত্র অশোক হালদার, অশ্রু হালদারের সাথে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওইঘটনার জেরধরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শিশু সজিবকে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য পেট কেটে ঘেরে ফেলে দেয়া হয়। পুলিশ বাদির এজাহারের অভিযোগের বিষয়টিকে আমলে নিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছেন।

সূত্রমতে, শিশু সজিবের লাশ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত অশোক হালদার, অশ্রু হালদারসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করেছে।



মন্তব্য চালু নেই