নিজামীর ফাঁসি : নীরব দর্শক বিএনপি

দেশের বর্তমান প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপির সঙ্গে জোট করে মন্ত্রীত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী। বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে রাজপথে ঘুরেছিলেনও তিনি।

মঙ্গলবার রাতে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতার ফাঁসি কার্যকর হতে যাচ্ছে। বিশ্বের কয়েকটি দেশের সংগঠন এই ফাঁসি কার্যকর না করার অনুরোধ করলেও দেশের প্রচলিত আইনে ফাঁসির দড়িতেই ঝুলতে হচ্ছে এ নেতাকে।

এদিকে এক সঙ্গে সংসদে বসে বক্তব্য দেয়া, মন্ত্রিসভায় অংশ নেয়া, আন্দোলনের কৌশল ঠিক করতে একান্ত বৈঠক করাসহ রাজনৈতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপির সঙ্গে নিজামীর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছিল বেশ লক্ষণীয়। অথচ সময়ের বাস্তবতায় আজ সেই সঙ্গীরা নীরব!

দেখা যাচ্ছে ফাঁসির পক্ষে বা বিপক্ষে কেউ কোনো কথা বলছেন না। সর্বশেষ বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম তথা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির চেয়ানপারসন খালেদা জিয়া।

বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের কেউ নিজামীর ফাঁসির বিষয়ে কোনো আলোচনাই করেননি।

ধারণা করা হচ্ছে, যে দাবিতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ তার বিপক্ষে গিয়ে কথা বলে নতুন করে বেকায়দায় পড়তে চাচ্ছে না বিএনপি। তাই নীরবতার কৌশল নিয়েছে বিএনপি।

অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, যে দলের পক্ষে দেশের বেশিরভাগ মানুষ রয়েছে, সেই দল জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে যৌক্তিক আন্দোলন করার শক্তি হারিয়েছে। তারা আবার কিভাবে বিতর্কিত ইস্যুর পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলবে।

প্রসঙ্গত, মতিউর রহমান নিজামী জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে সংসদ সংসদ নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি (২০০১-০৩) ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের (২০০৩-০৬) মন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

বিএনপি সমর্থিত চারদলীয় জোটে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর বিএনপির বড় বড় অনুষ্ঠানগুলোতে খালেদা জিয়ার পাশেই বসার সুযোগ পেতেন নিজামী।

এ নিয়ে অবশ্য সমালোচনা হলেও জামায়াত তাদের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করতো।

এর আগে ২০০১ সালে গোলাম আযমের উত্তরসূরী হিসেবে নিজামী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির হিসেবে দায়িত্ব পান।



মন্তব্য চালু নেই