নিজের টাকা আগে ব্যাংকে জমা দেওয়ার পরেই নোট বাতিলের ঘোষণা মোদীর!

বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করছেন, নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত আগে থেকেই জানতেন বিজেপি-র অনেক নেতা-নেত্রীরা। তাঁরা নিজেদের টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে দেওয়ার পরেই নোট বাতিলের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি-র পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ব্যাঙ্কে মোটা টাকা জমা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধীরা। বিরোধীদের এই আক্রমণকে ভোঁতা করে দিতেই এবারে নিজের দলের সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিলেন নরেন্দ্র মোদী। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের খবর অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের আট তারিখের পরে থেকে নিজেদের সমস্ত ব্যাঙ্কিং লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য বিজেপি-র বিধায়ক এবং সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

জানা গিয়েছে, বিজেপি-র সংসদীয় দলের বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, গত ৮ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে লেনদেনর যাবতীয় তথ্য দলের সভাপতি অমিত শাহের কাছে জমা দিতে হবে বিজেপি-র সাংসদ এবং বিধায়কদের। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে অনেক বিজেপি নেতা-মন্ত্রীও অখুশি। কিন্তু প্রকাশ্যে তাঁরা সেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারছেন না। যদিও, সেই সব ক্ষোভ, বিক্ষোভকে পাত্তা দিতে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী। বরং তিনি এখন আয়কর আইনে নতুন সংশোধনী এনে কালো টাকা উদ্ধার করে গরিব উন্নয়ন তহবিল তৈরি করতে বদ্ধপরিকর বলে দলীয় বৈঠকে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুক না কেন, ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানোর জন্যেও দলের বৈঠকে সবাইকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষত পঞ্চায়েত, পুরসভা এবং স্বশাসিত সংস্থাগুলিতে যাতে ডিজিটাল লেনদেনের উপরে জোর দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য দলের সদস্যদের অনুরোধ করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

কিন্তু প্রশ্ন হল, দলীয় সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে কতটা কড়া পদক্ষেপ নেবেন প্রধানমন্ত্রী? কারণ, দলের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকলে তা সামাল দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হবে মোদী-অমিত শাহ জুটির সামনে। বিশেষত উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে এত কড়া ব্যবস্থা নিলে তা ফল হিতে বিপরীত হতে পারে বলেও আশঙ্কা রাজনীতিবিদদের। নোটবাতিলের পক্ষে দেশবাসীর সমর্থন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদী, ফলে দলীয় ক্ষোভের জন্য তিনি কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন, এমন আশা কেউই করছেন না।



মন্তব্য চালু নেই