‘নিজের ভেতর ভালো করার তীব্র ক্ষুধা কাজ করছে ‘

ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের সেরা বোলিং করা তাসকিন আহমেদ এ বছর ঘরের মাঠে সিরিজগুলো রাঙাতে পারেননি সেভাবে। ভারত সিরিজেই পড়লেন চোটে। খেলতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজও। চোট কাটিয়ে ‘এ’ দলের হয়ে সেপ্টেম্বরে গিয়েছিলেন ভারত সফরে। কিন্তু সেখানে আবারও চোটের হানা। সফর অসমাপ্ত রেখেই চলে আসতে হলো দেশে। পুনর্বাসন শেষে প্রাথমিক দলে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজও।

ইনজুরি কাটিয়ে ওঠার পর ফেরার জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকেই (বিপিএল) টার্গেট করেছিলেন। ফিরেছেনও টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই। নিজের চেনা ছন্দে খেলা হয়নি। বোলারের কাছে যেটা সবচেয়ে মূল্যবান সেই উইকেট মিলেছে মাত্র চারটি।

সাত ম্যাচে উইকেট মাত্র চারটি। অবশ্য এ পরিসংখ্যানই তাতিয়ে দিচ্ছে তাসকিনকে। ভাল কিছু করার জন্য তীব্র ক্ষুধা কাজ করছে তার ভিতরে। দেশের একটি শীর্ষ দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন তরুণ পেসার তাসকিন।

বললেন, ‘বিপিএলে দারুণ কিছু করতে পারলে ভালো হতো। তবে আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন। দারুণ কিছু করতে না পারায় নিজের ভেতর ভালো করার তীব্র ক্ষুধা কাজ করছে।’

তবে চোট আর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সকে পিছনে ফেলে নতুন বছরে নতুন রুপে ফিরতে চান তাসকিন। বললেন, ‘ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বিপিএলের আগে আট সপ্তাহের পুনর্বাসন করেছি। চোট থেকে সেরে উঠে সরাসরি বিপিএল খেলেছি। যদিও বিপিএলের শুরুতে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারিনি। তবে শেষ দিকে ভালো হয়েছে। সামনে আরও ভালো হবে ইনশা আল্লাহ।’

তাই বসে না থেকে প্রায় প্রতিদিনই মিরপুরে অনুশীলন করে যাচ্ছেন তাসকিন। নিজের সামর্থ্যকে যাচাই করতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে একটি অনুশীলন ম্যাচও খেলেন তিনি। সেখানে দশ ওভার বোলিং করে ৩০ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেটও নিয়েছেন।

বললেন, ‘ছুটিতেও অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। পুরোনো আত্মবিশ্বাস আবারও ফিরে পাচ্ছি।’

বছরের শুরুটা দারুণ ছিল তাসকিনের। ঘরোয়া ক্রিকেটের অসাধারণ পারফরম্যান্স পুরষ্কার সরুপ সুযোগ পেলেন বিশ্বকাপে। আর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে নেমে দারুণভাবে মেলে ধরেছিলেন নিজেকে। বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে নয় উইকেট নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও তিনি।

বিশ্বকাপে অসাধারণ নৈপুণ্যের পর পাকিস্তান ও ভারত সিরিজে দলে ছিলেন তিনি। তবে ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। মিস করেন জিম্বাবুয়ে সিরিজও। সর্বোপরি ২০১৫ সাল তাসকিন ও জাতীয় দল উভয়ের জন্যই ভালো গেছে। নতুন বছরে নিজেকে নতুন ভাবে রাঙ্গাতে চান তাসকিন। সেই সাথে সুযোগ পেলে চান নিজের সেরাটাই দেওয়ার।

বললেন, ‘২০১৫ দারুণ কেটেছে দলের। এমনকি আমারও। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছিলাম। কিছু ভালো ভালো স্পেল ছিল। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিরিজের অংশও হতে পেরেছি। যদিও শেষ কয়েকটি সিরিজ খেলতে পারিনি চোটের কারণে। তবে যেটা হয়ে গেছে, সেদিকে তাকিয়ে তো লাভ নেই। হয়তো পরের ম্যাচে ভালো খেলতে প্রেরণা দেবে পেছনের সাফল্য। তবে ওগুলো ওখানেই শেষ। প্রতিটি ম্যাচই নতুন। সামনে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটাই দেব।’



মন্তব্য চালু নেই