নিমিষেই বুক জ্বালাপোড়া দূর করুন ঘরোয়া ৭ উপায়ে

অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। একটু অসাবধান হলে শুরু হয়ে যেতে পারে এই সমস্যা। অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যার প্রধান লক্ষণ হল বুক জ্বালাপোড়া। এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে ঔষধ ও রাসায়নিকপূর্ণ ইনস্ট্যান্ট পানীয় পান করে থাকেন। এই পানীয়গুলো পানে সাময়িকভাবে বুক জ্বালাপোড়া দূর হলেও এর রয়েছে ক্ষতিকর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করা ভালো।

১। তুলসি

কয়েকটি তুলসি পাতা ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর এটি চিবিয়ে খান। ৪-৫ টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলেই হবে। এটি গ্যাসটিকের বুক জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। এছাড়া ২ কাপ পানিতে ৫/৬ টি তুলসি পাতা ফুটতে দিন। পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণ হয়ে এলে তা নামিয়ে গরম গরম পান করুন। এটি বুক জ্বালাপোড়া তাৎক্ষনিক কমিয়ে দেবে।

২। আদা

এক কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা কুচি দিয়ে কয়েক মিনিট জ্বাল দিন। তারপর এটি পান করুন। আদা পাকস্থলি থেকে এসিড শোষণ করে নার্ভ শীতল রাখে। যা বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে। এছাড়া প্রতিদিনের রান্নায় আদা কুচি রাখুন।

৩। বেকিং সোডা

এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এটি পান করুন। তাৎক্ষনিক বুক জ্বালাপোড়া কমাতে এটি বেশ কার্যকর। বেকিং সোডার সোডিয়াম বাই-কার্বনেট অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব দ্রুত নিরাময়ে বিশেষভাবে সহায়ক। এর পিএইচ ৭ মাত্রার বেশী হওয়ার কারণে এটি পেটের অ্যাসিডকে শান্ত করে জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয়।

৪। অ্যালোভেরার জুস

বুক জ্বালাপোড়া রোধ করতে খাবার খাওয়ার আগে আধা কাপ অ্যালোভেরা জুস পান করুন। অ্যালোভেরার জুস বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে ইনফ্লামেশন দূর করে। তবে অতিরিক্ত অ্যালোভেরা জুস পান করা থেকে বিরত থাকুন। বেশি পরিমাণ অ্যালোভেরা জুস পানে ডায়ারিয়া দেখা দিতে পারে।

৫। ঠাণ্ডা দুধ

অ্যাসিডিটির সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে ঠাণ্ডা দুধের জুড়ি নেই। দুধের ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে পৌঁছে বাড়তি অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটি তৈরি করে তা শোষণ করে নেয়। এবং বুক ও পেটের যন্ত্রণাদায়ক জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়।

৬। দারুচিনি

হজমশক্তি বৃদ্ধিতে দারুচিনি বেশ উপকারী একটি মশলা। এটি প্রাকৃতিক এনটাসিড হিসাবে কাজ করে থাকে এবং পেটের গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। এক কাপ পানিতে আধা চাচামচ দারুচিনি গুঁড়ো মেশান। কয়েক মিনিট সেটি জ্বাল দিন। এটি দিনে ২/৩ বার পান করতে পারেন।

৭। জিরা

এক কাপ পানিতে দুই চা চামচ জিরা দিয়ে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি পান করুন। জিরা পেটে গ্যাস হওয়া রোধ করে পেটে অ্যাসিড হওয়া কমিয়ে দেয়।



মন্তব্য চালু নেই