নিরাপত্তা প্রশ্নে যা বলল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকির হুঁশিয়ারি জারি করার পর দেশটির টেস্ট ক্রিকেট দল বাংলাদেশে তাদের সফর বিলম্বিত করেছে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ড এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র সম্পর্ক ও বাণিজ্য দপ্তর (ডিএফটিএ) বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এরপর ডিএফটিএর পরামর্শেই আমরা অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নতুন একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।’

‘আমার চাই বাংলাদেশ সফর সামনে এগিয়ে যাক এবং সে মতেই আমরা পরিকল্পনা করছি। কিন্তু খেলোয়াড় ও তাদের সফরসঙ্গী স্টাফদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টিই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম বিবেচনার বিষয়।’

‘চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আমরা হয়তো নিরাপত্তা সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য জানতে পারব। সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার পর-ই আমরা বাংলাদেশ সফর পরিকল্পনা চুড়ান্ত করব; তার আগে নয়।’

ডিএফটিএ সর্বশেষ গতকাল শুক্রবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য’ থেকেই বাংলাদেশে অস্ট্রেলীয়দের প্রতি নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ডিএফএটি বলেছে, ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রেই তথ্য পাওয়া গেছে যে, জঙ্গিরা বাংলাদেশে অস্ট্রেলীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পরিকল্পনা করছে।’ ডিএফএটির ওয়েবসাইটে এই হুঁশিয়ারি প্রকাশ করা হয়েছে।

ডিএফএটি চারটি পর্যায়ে সতর্কতা জারি করে। তার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের সতর্কতা সংকেতকে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে অস্ট্রেলীয় সরকার বর্তমান এই সতর্কতাকে তৃতীয় পর্যায়ের বলে আখ্যায়িত করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দপ্তরকে দেশটির সরকার বলেছে, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল একটি এলাকা। আর ওই এলাকাতেই বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট ম্যাচটির ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে; যা চট্টগ্রামের মুল মহানগরী থেকে দুই ঘন্টার পথ। সূতরাং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের জন্য উচিৎ হবে এই ‘সফরের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পুনরায় ভেবে দেখা’।

‘এমনকি বাংলাদেশের রাজধানী খোদ ঢাকার অনেক জায়গাতেও অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে ভ্রমণ করা যায় না; কারণ প্রায়ই ঢাকাতে হুটহাট করে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।’

‘নিকট অতীতে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। ভবিষ্যতে পশ্চিমা স্বার্থসংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতেও সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।’

এছাড়া ‘বাংলাদেশে নিয়মিতই রাজনৈতিক সহিংসতা হয় বলেও’ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গত জানুয়ারি মাসের রাজনৈতিক সহিংসতার উল্লেখ করে বলা হয়, ‘সেসসময় পুরো বাংলাদেশজুড়ে সশস্ত্র হামলা ও আগুন বোমা নিক্ষেপের মতো সহিংসতা ঘটে; যার ফলে প্রচুর মানুষ হতাহতের ঘটনাও ঘটে।’



মন্তব্য চালু নেই