নির্বাচনকে ভয় পান খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) তো অনেক কথাই বলছেন। সরকার নির্বাচন দিতে ভয় পায়, পালিয়ে গিয়ে লুকানোর জায়গা পাবে না ইত্যাদি। কিন্তু উনি তো নিজেই নির্বাচন করতে ভয় পান। নির্বাচন এলে পালিয়ে বেড়ান।’

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশে (আইইবি) আওয়ামী তরুণ লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘উনি (খালেদা) আগে মনস্থির করুক উগ্রবাদী-জঙ্গিবাদী রাজনীতি করবেন, না গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করবেন। গণতান্ত্রিক পথে রাজনীতি করতে গেলে উনাকে আগে উগ্রবাদী জামায়াত পরিত্যাগ করতে হবে।’

এ সময় নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ নিম্ম মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় উন্নীত হয়েছে বিশ্বব্যাংকের এমন স্বীকৃতিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রবীণ এই রাজনীতিক।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম না যে, ওরা (বিশ্বব্যাংক) এ কথা বলতে পারবে। যারা পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টাকা ফেরত নিল, তারা এই স্বীকৃতি দিল। আসলে কেউ কিছু অর্জন করলে অর্জন স্বীকার করতে হয়। এর পেছনে যিনি রয়েছেন, যিনি নিরলস-অবিচলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি আর কেউ না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর একক কৃতিত্ব তার।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল আমরা যে সুখবর পেলাম, তা দেশের জন্য গৌরবের, মর্যাদার এবং উজ্জল ভাবমূর্তির লক্ষণ। এটি দেশের দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য গৌরবের। এই অর্জন নতুন কিছু চমক নয়। এটি বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি। এই অর্জন আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছে।
যা আগামী দিনে নিম্ম মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে এসে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে আত্মবিশ্বাসে শক্তি জোগাবে।’

‘দলীয় লোকদের বাঁধায় ব্যাংক জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না’-সংসদে অর্থমন্ত্রীর এমন মন্তব্য উল্লেখ করে সুরঞ্জিত বলেন,‘ এটা বারণ কেন। উনি প্রধানমন্ত্রীর সামনে এ কথা বলে ‘বল’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কোর্টের দিকেই ঠেলে দিয়েছেন। কারণ দেশের কাছে, দলের কাছে একমাত্র অপরিহার্য হল শেখ হাসিনা। দেশের অগ্রগতির পথে বাঁধা দেয়ার জন্য; যদি কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে তাকে ব্যবস্থা নিতেই হবে। কারণ দেশের মানুষের আশা-ভরসার একটাই আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা।

লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সংসদ সদস্য পদ যায় দুই কারণে। একটি হলো দলের বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দিলে। আরেকটি ওই সংসদ সদস্য দল থেকে পদত্যাগ করলে। কিন্তু তিনি কোনোটিই করেননি। তাই বুঝতে হবে, তার সদস্য পদ আছে। আর দল সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। কিন্তু নির্বাচিত করে সংসদীয় এলাকার জনগণ। তাই দল থেকে বহিস্কার হলেও তিনি স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে সংসদে সংসদীয় এলাকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোসলেহউদ্দিন মসুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নারায়ণ দেবনাথ, তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই