নির্বাচনী এলাকায় ১ মাস ‘উন্নয়ন-অনুদান’ বন্ধ

২৩৫ পৌর নির্বাচনী এলাকায় ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন, অনুদান বরাদ্দ বা অর্থ ছাড় ও ভিজিডি কার্ড বিতরণ না করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ চার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনপূর্ব সময়ে ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ড ইস্যু, ত্রাণ বিতরণ কাজ না করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব শামসুল আলম জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় প্রকল্প অনুাদন, ফলক উন্মোচনসহ উন্নয়ন বরাদ্দ, ত্রাণ বিতরণ ও অর্থ ছাড়ে বাধা-নিষেধ রয়েছে। বিষয়টি যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আজ সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

উন্নয়নমূলক প্রকল্প, অর্থছাড়, বিভিন্ন কার্ড বিতরণে ভোটাররা প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কায় বিধিতে ভোটের সময় এসব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতেই এ উদ্যোগ বলে জানান তিনি।

আচরণবিধিতে অনুযায়ী, নির্বাচনপূর্ব সময়ে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভূক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এসব প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান, বরাদ্দ বা অর্থ ছাড় করতে পারবে না।

পাশাপাশি এ সময়ে পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদাধিকারী সংশ্লিষ্ট এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় বা প্রদান করতে পারবেন না।

ইসির অনুমতি ছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি নয়

ভোট পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ইসির অনুমতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির সহকারি সচিব রাজীব আহসান জানান, ২৩৫ পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ চিঠি দেয়া হবে। বুধবার এ সংক্রান্ত চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, ভোটের কাজে রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং, প্রিজাইডিং অফিসার, সরকারি প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার, নির্বাহী ও বিচারকি হাকিম ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকেন। এসময় কর্মকর্তারা বদলি হলে ভোটের কাজ বাধাগ্রস্থ হয়।

নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনে থাকেন।

সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইসিকে সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষ সহায়তা দেন। নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও ইসির অনুমতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনাও জারি করতে হবে



মন্তব্য চালু নেই