নির্বাচনে অনিয়ম: সিইসিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মাধবদী পৌরসভা নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে অনিয়মের অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ওবায়দুর রহমান টিটু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় বিবাদী করা হয়েছে প্রধান নির্বাচন কশিনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ রহমান, রিটার্নিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, নরসিংদী সদর নির্বাচন কমিশনার নজরুল ইসলাম, প্রিজাইডিং অফিসার মো. জয়নাল আবেদীন, বিজয়ী কাউন্সিলর মো. শেখ ফরিদ ও অন্য পরাজিত প্রার্থী মো. ইসমাইলকে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সিইসি দেশের মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য তফসিল ঘোষণা করেন। সে মোতাবেক তিনি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনার কাছে মাধবদী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে তাকে পানির বোতল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। মামলার বিবাদী শেখ ফরিদ উট পাখি প্রতীক ও মো. ইসমাইল পাঞ্জাবি প্রতীক বরাদ্দ পান।

গত ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলে শেখ ফরিদ উট পাখি প্রতীকে পরাজিত হবে বুঝতে পেরে অন্য প্রার্থী মো. ইসমাইলের (পাঞ্জাবি প্রতীক) যোগসাজসে সন্ত্রাসী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাধবদী পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেন।

এর প্রেক্ষিতে বাদী নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে স্থগিত পৌরসভায় নির্বাচন কমিশনার ১২ জানুয়ারি পুনরায় ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেন।

ভোটগ্রহণের দিন কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ ফরিদ (উট পাখি) তার লোকজন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ককটেল, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উট প্রতীকে সিল মারেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক তিনি বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। পরে ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি শান্ত হলে সাধারণ ভোটাররা পুনরায় ভোট দেন। বিকাল ৪টার পর বাদী মো. ওবায়দুর রহমান টিটুর এজেন্ট আমিনুল ইসলামের সামনে ভোট গণনা হলে তার প্রতীক (পানির বোতল) জয়ী হয়। উট প্রতীকের এজেন্ট বিষয়টি বুঝতে পেরে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশের যোগসাজসে পানির বোতলের ভোট উট পাখি প্রতীকের বান্ডেলের মধ্যে ঢুকিয়ে তার এজেন্টের কোনো স্বাক্ষর ছাড়াই এক হাজার ৪০৪ ভোটে উট পাখি প্রতীক বিজয়ী হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। তার পানির বোতল প্রতীকে ৮১৫ ভোট প্রাপ্ত ঘোষণা করলেও মোট দুই হাজার ৯০৭ ভোটের মধ্যে কত ভোট বাতিল হয়েছে এবং তৃতীয় জন কত ভোট পেয়েছেন তা ঘোষণা করা হয়নি।

এ বিষয়ে তিনি গত ১৭ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানালেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ অবস্থায় তিনি পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।



মন্তব্য চালু নেই