নির্বাচনে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী তাণ্ডব শুরু করেছে

দুদফা সহিংসতার পর তৃতীয় ও চতুর্থ দফা ইউপি নির্বাচনেও সরকার দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী তাণ্ডব শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার বেলা সোয়া ১১ টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানির অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ইউপি নির্বাচনে ৪৫ জন নিহত ও পাচঁশতাধিক লোক আহত হয়েছে।

রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীনদের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে গ্রামগঞ্জের মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। রিজভীর অভিযোগ, ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ঘটলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা এ ব্যাপারে নির্বিকার থাকছেন।

নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না বলে আবারো জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জায়গার সহিংসতার চিত্র তুলে ধরেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব।

তিনি জানান, মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের মুড়াপাড়া ইউনিয়নে গাছে বেঁধে জাহাঙ্গীর নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এ সময় বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্বাস উদ্দিন ভূঁইয়াসহ ১২ জন আহত হন।

একই দিন বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ইউপি মেম্বার মং নু মারমাকে সরকার দলীয়রা অপহরণ করে হত্যা করে। মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়।

গাজীপুরের রাজাবাড়ি ইউনিয়নে সশস্ত্র হামলায় আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী কুতুবউদ্দিনসহ ২০ জন। বগুড়ার রামেশ্বরপুর ও কাগইল ইউনিয়নে বিএনপির নির্বাচনী সভা আওয়ামী লীগের লোকজন পণ্ড করে দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু , নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই