নির্বাচনে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী রাখার দাবি

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আসন্ন পৌর নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের ৩০ ভাগ আগ্রহী মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা যোদ্ধা অধিকার ফোরাম।

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে স্বাধীনতা যোদ্ধা অধিকার ফোরাম আয়োজিত ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ন্যায্য দাবি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে স্বাধীনতা যোদ্ধা অধিকার ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল মো. জামাল উদ্দিন শিকদার সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো: জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের মনোনয়ন দিতে হবে, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না এবং মামলা করতে হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কূটকৌশল নেয়া যাবে না, মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শহীদের প্রতি জাতি কৃতজ্ঞ এমন অভিব্যক্তি সংবিধানে মুখবন্ধে রাখতে হবে, সরকারিভাবে গণ-শহীদদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত নীতিমালা অনুযায়ী পুনর্বাসনের আওতাভূক্ত করতে হবে, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া সচিব কমিটি অথবা মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি কমিটি- যে নামেই হোক না কেন তাদের পরামর্শ নিয়েই মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক আইন প্রণয়ন করতে হবে।

এদিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২৪তম সভায় সিদ্ধান্ত অনুসারে ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা তালিকা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত সনদ ব্যতীত অন্য সকল গেজেটভূক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সঠিকতা নির্ণয়ের বিষয়টি পুনরায় উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই বিষয়ে স্বাধীনতা যোদ্ধা অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) আব্দুল জলিল বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সনদ এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে রাষ্ট্রের পক্ষ হতে গেজেটধারী হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রশ্নবোধক হবেন। হাউ ফানি!’

সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতা যোদ্ধা অধিকার ফোরামের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, ড. এসএম জাহাঙ্গীর আলমসহ এসময় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই