নির্মাণের অপেক্ষায় দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের লক্ষ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া এবং পাচ্চর-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নয়নের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শনিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এই কাজের উদ্বোধন করবেন। মহাসড়কটি নির্মিত হলে এটিই হবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে।

এই প্রকল্পের অধীন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত এবং পাচ্চর-ভাঙ্গা অংশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ চার লেন নির্মাণ করা হবে।

প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর এবং ফরিদপুর জেলায় ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

প্রস্তাবিত এ মহাসড়কে ছয়টি ফ্লাইওভার, চারটি রেলওভারপাস, ১৫টি আন্ডারপাস এবং তিনটি ইন্টারচেঞ্জ থাকবে। এসব সুবিধা সংযোজনের ফলে মহাসড়কটি একটি এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তর হবে।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য নির্মাণ হচ্ছে পদ্মা সেতু। রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু ব্যবহার করে দক্ষিণাঞ্চলে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য এ মহাসড়ক তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের পূর্বাঞ্চলের যাত্রী ও পণ্য স্বল্প সময়ে নিরাপদে দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছাতে পারবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং স্পেশাল ওয়ার্কার্স অর্গানাইজেশন (পশ্চিম), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।



মন্তব্য চালু নেই