নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি

পৌর নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপির পক্ষ থেকে অসত্য তথ্য দিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

আজ বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির এক সংবাদ সম্মেলনে হানিফ এই অভিযোগ করেন।

হানিফ বলেন, আজ সকালে বিএনপির পক্ষ থেকে ওসমান ফারুক নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ করেছেন ভোলা পৌরসভায় ১৮টি কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। আমরা তাদের অভিযোগের পর এ বিষয়ে খবর নিয়ে দেখেছি তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। নির্বাচন কমিশনও এ বিষয়ে খবর নিয়ে দেখেছে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে।

হানিফ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৮নং ভোটকেন্দ্রে বিএনপির সমর্থকরা ব্যালট পেপার ছিনতাই করার চেষ্টা করলে সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও কুষ্টিয়ার কুমারখালী একটি ভোটকেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর কারণে তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

এ ছাড়াও বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে কয়েকটি পৌরসভায় ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ হানিফের।

যশোরের একটি কেন্দ্রে সংবাদিকদের ওপর পরিকল্পিত ককটেল হামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন করে বলেন- এমন কী ঘটনা ঘটেছে যার কারণে সংবাদিকদের ওপর হামলা করতে হবে? তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য খুবই পরিষ্কার, সব ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা জন্য এবং নির্বাচন সুষ্ঠ হচ্ছে না এটা প্রমাণের জন্য এসব করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে জন্য তিনি আহ্বান জানান।

হানিফ বলেন, বিএনপির ভেতরে শঙ্কা দেখা গিয়েছে। যতই সময় যাচ্ছে ভোটার উপস্থিতি দেখে তাদের মধ্যে পরাজয়ের শঙ্কা ততই বাড়ছে। তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে বিএনপি।

তিনি বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি প্রমাণ করে তাদের মধ্যে এমন কোনো শঙ্কা নেই। ভোটার উপস্থিরি মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।

হানিফ বলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ভোটকেন্দ্র থেকে আধা কিলোমিটার দূরে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি স্থানীয় সামাজিক সমস্যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।

এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনে জয় পরাজয় যাই হোক আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত আছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কার্যনির্বাহী সদস্য এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি লিয়াকত শিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই