নিষিদ্ধই থাকছেন আশরাফুল!

বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মোহাম্মদ আশরাফুলকে প্রথমে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

পরবর্তীতে সেটা কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে আগামী মাসের ১৩ তারিখ। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে আশরাফুল চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি।

আগস্টে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে নিয়মিত কঠোর অনুশীলন করে যাচ্ছেন তিনি। অনেক আশায় বুক বেঁধে আছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে।

কিন্তু এমন সময় আরো একটি দুঃসংবাদ শুনলেন আশরাফুল। আইসিসি তার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট না থাকায় চলতি বছরের ১৩ আগস্ট থেকে আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেটে ফেরা হচ্ছে না টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের।

আশরাফুলের আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেলের মতে আরো দুই বছর তাকে অপেক্ষা করতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে।

ব্রিটিশ আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেল বলেন, ‘আশরাফুল ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট থেকে বিসিবি আয়োজিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবেন। কিন্তু তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএল খেলতে পারবেন না। সেটার জন্য তাকে আরো দুই বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।’

এ বিষিয়ে আইসিসির একজন মুখপাত্র আশরাফুলের আরো দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন আশরাফুল কেবল বিসিসি আয়োজিত ঘরোয়া ক্রিকেট ও অন্যান্য দেশ আয়োজিত নন ফার্স্ট ক্লাস ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘আশরাফুল ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট থেকে বিসিবি আয়োজিত সব ধরণের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবেন। পাশাপাশি আইসিসি সদস্য দেশগুলোর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট নয় এমন টুর্নামেন্টেও খেলতে পারবেন।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, ‘আশরাফুল ইতিমধ্যে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী প্রচারণা ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছে। আপিল প্যানেলের বেধে দেওয়া শর্তগুলোও পূরণ করেছে।’

তারপরও আইসিসি তার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট নয়। সে কারণে আরো দুই বছর নিষিদ্ধ থাকতে হতে পারে বাংলাদেশের প্রাক্তন এই অধিনায়ককে।

তথ্যসূত্র : নিউ এজ



মন্তব্য চালু নেই