নিষিদ্ধ তালিকা থেকে ইরাককে বাদ দিচ্ছেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন নির্বাহী আদেশে ইরাকের নাগরিকদের আমেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার বার্তা সংস্থা এএপি এ তথ্য জানিয়েছে।

চার শীর্ষ স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরাকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পেন্টাগন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল । মূলত চরমপন্থী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকের ভূমিকার কথা মাথায় রেখেই সে দেশের নাগরিকদের উপর থেকে আমেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা সরানোর অনুরোধ করা হয় হোয়াইট হাউজকে। ধারণা করা হচ্ছে বুধবার এ সংক্রান্ত নতুন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প।

তবে নয়া অভিবাসন নীতিতে আপাতত ধীরে চলার নীতিই নিচ্ছে ট্রাম্প সরকার। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া প্রথম ভাষণে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নয়া নীতিতে আমেরিকায় ঢুকতে ইচ্ছুক অভিবাসীদের মেধা ও দক্ষতার উপরে বেশি জোর দেওয়া হবে। এতে আমেরিকায় অদক্ষ কর্মীর সংখ্যা কমবে। ট্রাম্পের মতে, অভিবাসন নীতি নিয়ে রিপালিকান ও ডেমোক্রেট দু’পক্ষ সমঝোতায় এলে তবেই এই সংস্কার সম্ভব হবে।

আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে গত মাসে সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন ট্রাম্প। তবে এরপরই ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। আপিল আদালতে ট্রাম্প প্রশাসন এর বিরুদ্ধে আপিল করলেও তা প্রত্যাখাত হয়।

মঙ্গলবার অভিবাসন ইস্যুতে সুর বেশ নরম করেছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিনিদের স্বার্থ রক্ষা করেই অভিবাসী ও শরণার্থীদের জন্য দরজা খুলতে চায় আমেরিকা।

তিনি বলেন, ‘অভিবাসন নীতিতে সত্যিকারের সংস্কার সম্ভব বলেই আমার বিশ্বাস। তবে তার জন্য মার্কিনিদের কর্মসংস্থান ও মজুরি বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রাখতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করতে হবে। এবং আইনের শাসনের উপর আস্থা ফেরাতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই