নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে চলছে সিএনজি-টমটম

মোঃ আমান উল্লাহ, কক্সবাজার থেকে: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে চলছে সিএনজি-টমটমসহ ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, তিন চাকার যানবাহন চলাচলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাস চালকরা। অটোরিক্সা চালক ও যাত্রীদের দাবি, পর্যাপ্ত বিকল্প যানবাহন না থাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের।

চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি চালান বাবুল মিয়া। তিনি জীবনের ঝুঁকি জেনেও আইন অমান্য করেই সংসার চালাতে প্রতিদিনই ভাগ্যের চাকা ঘুরাতেই নামছেন মহাসড়কে। কেন আইন অমান্য করে এই যানটি চালাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করতেই উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়লেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা না করে কেন তার জীবন-জীবিকার যানটিকে বেআইনি করা হলো।

বাবুল মিয়ার মতো অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা চলে এই তিন চাকার যানের ওপর নির্ভর করেই। তিনি আরও বলেন, আগে আয় করতাম ২হাজার আর এখন আয় হয় ২শ ৩শ টাকা। এ টাকা দিয়ে কি সংসার চলে, নাকি কিস্তি পরিশোধ করি, নাকি গ্যাস ভরি কিছুইতো হয় না। তার উপর মহাসড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজী। যেন মরার উপর খাঁরার ঘা।

এদিকে বিভিন্ন সময় মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা কিংবা টমটম ইজিবাইক দুর্ঘটনায় পড়ার কারণে প্রাণ হারিয়েছে অনেকেই।

এসব ঘটনায় আলোচনায় উঠে আসে, মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তিনচাকার অটোরিক্সা চলার প্রসঙ্গটি। এরই ধারাবাহিকতায় গত আগস্ট মাসে মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।

কিন্তু হুট করে সরকারি ঘোষণা, সেই সাথে এই পেশায় জড়িতদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই যান চালাচ্ছেন চালকরা। আর বিকল্প যান না থাকায় যাত্রীরাও কম দূরত্বের জায়গাগুলোতে বাধ্য হয়েই চড়ছেন অটোরিক্সা কিংবা টমটমে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার জন্য তিন চাকার চালকদেরই দায়ী করছেন বাস চালকরা।



মন্তব্য চালু নেই