পুনঃশুনানি নয়, ১ মাসের মধ্যে ১৬৮ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়

প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর দেওয়া ১৬৮ মামলার রায়ের পুনঃশুনানি হবে না।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছেন, নিস্পত্তি হওয়া এসব মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় এক মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘অনেক গুঞ্জন হয়েছে রি-হিয়ারিংয়ের বিষয়ে, অনেক যাচাই বাছাই করেছি, এসব হচ্ছে না। অনেক দূর জল গড়িয়েছে, কেউ কেউ মারা গেছেন, ৪-৫ বছরের মামলাও আছে। দুই/চারটি পুনঃশুনানি করতে পারি। আপনাদের কথা দিচ্ছি এক মাসের মধ্যে সব রায় দিয়ে দিব। দায়িত্ব নিয়েছি।’

এ সময় আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

নিস্পত্তি হওয়া এই ১৬৮ মামলা গত ৩ মে থেকে পুনঃশুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার‌্যতালিকায় ছিল।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, ১৬১ মামলার মধ্যে বেশিরভাগ মামলার রায় লেখার কাজ শেষ করেছিলেন বিচারপতি মানিক। কিন্তু গত ২৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি মামলাগুলো পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। সঙ্গে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মোজ্জাম্মেল হোসেনের কাছে থাকা সাত মামলাও পুনঃশুনানির সিন্ধান্ত হয়। এর পরপরই প্রস্তুত করা হয় এসব মামলার পেপারবুক।

২০১৫ সালের এক অক্টোবর আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অবসরে যাওয়ার সময় ১৬১টি মামলার রায় লেখার দায়িত্ব ছিল এই বিচারপতির।

এসব মামলা তার অবসরে যাওয়ার আগেই আপিল বিভাগ বিভিন্ন সময়ে শুনানি গ্রহণ সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত আদেশও জানিয়ে দেন। শুধু পূর্ণাঙ্গ রায় লেখার কাজ বাকি ছিল।

এদিকে বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা গত ১৭ জানুয়ারি তার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে অবসরের পরে রায় লেখাকে সংবিধানপরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেন।

এতে তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের পর দীর্ঘদিন সময় ধরে রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধানপরিপন্থী।’

সুত্র জানায়, যেসব মামলা পুনঃশুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এগুলোর মধ্যে ২০১৩ সালে রায় ঘোষণা করা হয়েছে এমন মামলাও রয়েছে। এছাড়াও অবসরের পরে লেখা রায়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এখন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে প্রধান বিচারপতি সবগুলো মামলারই পুনঃশুনানির আদেশ দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই