“আমি চিরদিন তোমার অপেক্ষায় থাকবো”, কার অপেক্ষায় ছিলেন জঙ্গি নির্বাস?

গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তারাঁয় হামলায় অংশ নেওয়া একজন হামলাকারী নির্বাস ইসলাম। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্রের টুইটার অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে পুরনো বেশকিছু টুইট। প্রায় দুইবছর আগে বেশ কিছুদিন তিনি নিয়মিত টুইটার ব্যবহার করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে প্রমাণ রয়েছে।

২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর নির্বাস তিনটি ট্যুইট করেন। ইংরেজিতে লেখা টুইটগুলোর বাংলা করলে আসে ‘আমাকে তোমার আর প্রয়োজন নেই। সুখে থেকো ওর সঙ্গে। সবাই আমার চেয়ে অনেক ভালো। আমাকে কোথায় পাবে জানো তুমি।’

পরের ট্যুইটে লেখেন ‘আমি চিরদিন তোমার অপেক্ষায় থাকবো। যখনই আমাকে তোমার চাই। আমি শুধু একটা ফোন কল দূরত্বে আছি। কিন্তু, মনে হচ্ছে তুমি আমার স্থানটা আর কাউকে দিয়ে ফেলেছো। তোমাকে দ্বিধাগ্রস্ত দেখতে আমি চাই না।’

নির্বাসের ব্যক্তিগত টুইটার-পাতায় এই দু’টি ট্যুইট তিনি কার উদ্দেশ্যে করেছেন সেটা নিশ্চিত করা যায়নি।

নির্বাসের ব্যক্তিগত টুইটার-পাতায় দু’টি টুইটার অ্যাকাউন্টকে অনুসরণ করতে দেখা যায়, যেগুলো থেকে ইসলামকেন্দ্রিক বিভিন্ন মতামত টুইটারে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। অ্যাকাউন্ট দু’টির নাম সামি উইটনেস ও আনজেম চৌধুরী।

হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া জঙ্গিদের অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন নিব্রাস ইসলাম। তার বাবা একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। ঢাকার ওয়ারী ও উত্তরায় আছে তাদের নিজস্ব বাড়ি। নিব্রাসের তিন চাচার মধ্যে একজন সরকারের উপসচিব, একজন পুলিশ কর্মকর্তা, আরেকজন বিজ্ঞানী। নিব্রাস ইসলাম পড়াশোনা করেছেন ঢাকার উচ্চবিত্তদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল টার্কিশ হোপ স্কুলে। সেখান থেকে ও-লেভেল এবং এ-লেভেল শেষ করার পর পড়াশোনা করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরানো ও খরচের নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে পড়তে চলে যান অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক মোনাশ ইউনিভার্সিটির মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের হলি আর্টিজেন রেস্টুরেন্টে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

এ সময় সেখান থেকে ২০টি মৃতদেহ বের করা হয়, যাদের রাতেই গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে আইএসপিআর জানিয়েছে। নিহতদের ১৭ জনই বিদেশি এবং ৩জন বাংলাদেশি।

এছাড়া হামলার শুরুতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-ডিবি এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। কমান্ডো অভিযানে ছয় বন্দুকধারী নিহত হয় এবং ক বন্দুকধারীকে আটক করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই