নুসরাত ফারিয়া জানে না!

নুসরাত ফারিয়া অভিনয় করছেন বলিউডের কিসিং কিং ইমরান হাশমীর বিপরীতে! এটা বেশ পুরনো খবর। যে খবর পঁচে-গলে এখন জৈব সারে পরিনত হয়েছে দুই বাংলায়। এরমধ্যে ঢাকা-কলকাতায় মুক্তি পেয়ে গেছে ফারিয়ার প্রথম ছবি ‘আশিকী’। শেষ হয়েছে যৌথ প্রযোজনার ‘হিরো ৪২০’। ঘোষণা এসেছে জিতের সঙ্গে প্রথম ‘বাদশা’ কিংবা ওমের সঙ্গে আবারও ‘প্রেমী ও প্রেমী’ ছবির। শুধু আটকে ছিল ইমরান হাশমীর সঙ্গে ‘গাওয়া : দ্য উইটনেস’-এর সেই চাঞ্চল্যকর খবরের তল।

কারণ এ নিয়ে কম হাসাহাসি আর টিপ্পনি হলো না ঢালি হয়ে টলি পাড়াতে। নিন্দুকেরা নুসরাতের গায়ে পড়েই বলছে, ‘ইমরান হাশমী কেসটা নিতান্তই প্রচারণার জন্য সাজানো হয়েছে!’ তবে এসব ফিসফাসফিস আলাপের বিপরীতে নুসরাত বারবারই বলেছেন, ‘একটু অপেক্ষা করুন। সব গুঞ্জনের জবাব দিব। সব সন্দেহ উতরে যাবে সময় হলে।’

এবার বোধয় সময় হলো উতরানোর। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে নুসরাত তাই জানালেন, ‘না, এ ছবিতে ইমরান হাশমী থাকছেন না। পরিচালক সিউডল মেলাতে পারেননি। তিনি অন্য কাউকে ট্রাই করছেন।’ তাহলে হাশমীর বদলে আসছে কে? শোনা যাচ্ছে রণদীপ হুদার কথা। ছবিটা হচ্ছে তো! ফারিয়ার তড়িৎ জবাব, ‘আই ডোন্ট নো’। হয়তো ‘প্রশ্ন’ আর ‘বিস্ময় চিহ্ন’ তার লেগেছে খুব। অথবা তখন কলকাতার এসকে মুভিজের ডাবিং থিয়েটারে কোনও কারণে বিরক্ত ছিলেন। মাঠে-ঘাটে অভিনয় শেষে ডাবিংয়ের পর্দা ধরে ঠোঁট মেলানো তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। ঢের কষ্ট।

নুসরাত ফারিয়া এখন কলকাতায় ‘হিরো ৪২০’ ছবির ডাবিংয়ে
মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য, অক্টোবরে হিন্দি ছবি ‘গাওয়া: দ্য উইটনেস’-এ চুক্তিবদ্ধ হন ফারিয়া। কথা ছিল, এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এর শ্যুটিং শুরু হবে। কিন্তু এখনও গল্প ঠিক না হওয়ায় পরিচালক বিষ্ণু দত্ত শ্যুটিং পেছালেন। এপ্রিল থেকে নতুন করে ছবির শিডিউল সাজিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, হাশমীর সিডিউল না পেয়ে ছবির নায়ক নির্বাচন নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। যার দৌলতে গেল কমাসে কত কথাই না হজম করতে হচ্ছে ফারিয়াকে।

এদিকে একটি সূত্র ছবিটির কাস্টিং ডিরেক্টর যোসেফের বরাত দিয়ে জানায়, ইমরান হাশমীর বদলে করণ সিং গ্রোভার আর রণদীপ হুদার সঙ্গে কথা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত রণদীপ থাকার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। যা শিগগিরই জানানো হবে নুসরাত ফারিয়াকে।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ‘মনসুন ওয়েডিং’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে মারকুটে অভিনেতা রণদীপ হুদার বলিউড অভিষেক ঘটে। তবে ২০১০ সালে মিলান লুথারিয়া পরিচালিত ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই’ দিয়ে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। এরপর ‘জিসম-টু’, ‘মার্ডার-থ্রি’, ‘হিরোইন’, ‘হাইওয়ে’, ‘কিক’, ‘উংলি’ ছবিগুলো দিয়ে বি-টাউনের নির্ভরযোগ্য অভিনেতায় পরিনত হন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই