নোয়াখালীতে ইউপি নির্বাচনী বিরোধে যুবককে পিটিয়ে জখম

এইচ.এম আয়াত উল্যা, ষ্টাফ রিপোটার নোয়াখালী: ইউপি নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলু’র সমর্থক মো. মুন্না (২০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

রোববার সকালে খবর পেয়ে ইউনিয়নের খলিফার বাজারের পার্শবর্তী একটি দোকান থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ। আহত মুন্না দাদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বারাহীপুর গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। সে ঢাকায় ঠিকাদারের অধীনে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলু’র সমর্থক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জহির জানায়, কয়েক দিন পূর্বে মুন্না ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি আসে। রোববার ভোরে পুনরায় ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপন ও তার সহযোগী মিরাজ, রুবেল, মাসুদ, মাইকেল সহ ১৫-১৬ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর খলিফারহাট বাজার সংলগ্ন একটি বাগানের ভিতর নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে।

একপর্যায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শিপন তাকে ইউপি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বেদম মারধর করে এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে খবর পেয়ে সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফখরুলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় মুন্নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে রেখেছে।

গত ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপন তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মুন্না মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তাই আমরা স্থানীয়ভাবে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এদিকে, দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলু জানান, মুন্না গত বছর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আমার পক্ষে কাজ করে। এতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শিপন ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্নাকে পিটিয়ে জখম করেছে।

সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাহেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুন্না উদ্ধার করেছে। উভয়পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই